ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : বিভাজনকারীদের দলে জায়গা হবে না

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, যারা দলে বিভাজন সৃষ্টি করে, দলকে দুর্বল করে এবং নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় তাদের আমরা সংগঠনে দেখতে চাই না। গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তর বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারে মহনগরীর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সম্মেলন বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদ হাসান শামীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষ নিয়ে রাজনীতি করে। যাদের নিয়ে এলাকায় বিতর্ক আছে, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে, এমন কাউকে আমরা আমাদের দলে দেখতে চাই না। চাপ প্রয়োগ করার মাধ্যমে কাউকে কোনো পদ দেয়া হবে না। ত্যাগী, যোগ্য, সৎ, মানুষের জন্য কাজ করে এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কমিটি দেয়া হবে। আমরা ‘মাইম্যানের’ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সংগঠনের জন্য কাজ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেন তাদের আর কোনো নেতার প্রয়োজন নেই। সেই ধরনের কর্মীকে আমরা চাই। সংগঠনের পদ ভাগাভাগি করলে সংগঠনের মধ্যে ঐক্য থাকে না। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যাদের প্রতি শুধু দলের সমর্থন না সাধারণ মানুষের আস্থাও আছে। তিনি আরো বলেন, যারা যোগ্য, ত্যাগী, পরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদের আমরা নেতৃত্বে দেখতে চাই। সেই সঙ্গে ঢাকা-৯ আসন থেকে একটি আদর্শ সংগঠন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা উপহার দেব।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তার একমাত্র শক্তি হলো দেশের জনগণ। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে চলে গেছে, সেটা নিয়ে ভেবে কোনো লাভ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে হবে। বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে যদি এ দেশের টিকে থাকতে চায় তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে, নয়তো বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সহসভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সহসভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন, সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আশ্রাফুজ্জামান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন ও পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্ভোধন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়