ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজে ভাগ্য বদলের আশা

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজের মাধ্যমে ভাগ্যের বদলাতে চান রিক্তা-শফিকুল দম্পতি। রিক্তা ও শফিকুল দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে। তাদের দীর্ঘ চার বছর পরিশ্রমে এখন ভাগ্যবতীর ওজন প্রায় ৪৬ মণ এবং ভাগ্যরাজের ওজন প্রায় ৪৮ মণ। এ বছর কুরবানির ঈদে (ঈদুল আজহা) ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে দিয়েই ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে চান এই দম্পতি।
এলাকায় একজন সফল গরু পালনকারী হিসেবে পরিচিত মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের উথালী গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম। শফিকুল পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। সেই সুবাদে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানার অনুপ্রেরণায় একটি গরু দিয়ে গড়ে তোলেন ছোট খামার। সেখানে এখন চারটি উন্নত জাতের গাভী এবং দুটি গরু রয়েছে। এড়ে দুটির নামই ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ।
যেহেতু গরুর ব্যবসা তাই শফিকুলকে প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাট-বাজারে যেতে হয়। তাই গরুর পরিচর্চাসহ খামারের যাবতীয় দেখাশোনা তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানা করেন। রিক্তার পরিশ্রমেই গত ঈদে ভাগ্যবতীর দাম হয়েছিল ৭ লাখ টাকা। কিন্তু করোনার লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকায় যারা কিনে ছিলেন তারা নিতে পারছিলেন না।
এ বছর কুরবানির ঈদে ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ নামের এই দুটি গরু বিক্রি করে সংসারের পরিবর্তন ঘটাতে চান রিক্তা-শফিকুল। পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু সুখে থাকার স্বপ্ন বুনে চলেছেন তারা।
উথালী গ্রামের মো. ছিদ্দিক মোল্যার ছেলে শফিকুল ২০১১ সালে একই উপজেলার চরবড়রিয়া গ্রামের হালিম মোল্যার মেয়ে রিক্তা সুলতানাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের খেয়ে না খেয়ে সংসারের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য জীবন যুদ্ধ। গরু পালনের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর সুখের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন রিক্তা-শফিকুল দম্পতি। এই দম্পতির সুখী, খুশি আর তাবাচ্ছুম নামের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদেরও ভালোভাবে মানুষ করার স্বপ্ন দেখছেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, গরুর ব্যবসা করার কারণেই আমার গরু পালন শুরু হয়। আমার স্ত্রী রিক্তা অনেক কষ্ট করে এই গরুর জন্য। এবার ঈদে আমাদের পরিশ্রমের ফসল ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে বিক্রি করতে চাই। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়