ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

ফায়ার ফাইটার এমরানের বাড়িতে শোকের মাতম

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, চাঁদপুর : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের ফায়ার ফাইটার এমরান হোসেন মজুমদারের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এমরান কচুয়া উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সিংআড্ডা গ্রামের মৃত মকবুল ক্বারীর ছেলে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব ফায়ার ফাইটারের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এমরানের মরদেহ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, এমরান হোসেন ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফায়ার লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সঙ্গে যান তিনি। সেখানে রাসায়ানিক পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণে এমরান হোসেন মজুমদার নিহত হন।
মৃত্যুর খবর শুনে তার গ্রামের বাড়ি কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবারের সবাই শুরু করেন আহাজারি। পরিবারে এমরান হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ছেলে তাহসিন মজুমদার

ও প্রতিবন্ধী মেয়ে তোবা মজুমদার রয়েছেন। তাকে হারিয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা কাতর হয়ে আছেন।
নিহতের ভাই সোলেমান পাটওয়ারী বলেন, শনিবার রাতে আমার ভাই এমরান মজুমদার বাড়িতে শেষ কথা বলেন। ভাইয়ের এমন মৃত্যু আমরা মানতে পারছি না। ভাইকে হারিয়ে শোকে কাতর পুরো পরিবার। নিহত ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মধ্যে দুজনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকি পাঁচজনের মধ্যে আমার ভাইয়ের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
নিহতের স্বজন শাহিনুর আক্তার, সোলেমান পাটওয়ারী, শাহপরান ও সুমাইয়া আক্তার জানান, এমরান হোসেন মজুমদার একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তাকে হারিয়ে এখন পরিবারটি নিঃস্ব।
শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। কিছুক্ষণ পর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেলে চিন্তিত হন পরিবার। সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান। তার লাশ শনাক্ত করে গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।
কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছি। আমার প্যানেল চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছে। নিহত এমরান হোসেনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ বাড়িতে আনার পর দাফন-কাফনে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়