ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

খানাখন্দ-কাদা মাটিতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : সোনাপুর-চৌরাস্তা সড়ক ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফোর লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান থাকায় সড়কে খানাখন্দের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে কাদা মাটির স্তূপ। সড়কের উপর বড় বড় গর্তে জমেছে পানি। এতে জনজীবনে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিকল হচ্ছে যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ, ঘটছে দুর্ঘটনা। ১৩.৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কের সোনাপুর-মাইজদী বাজার ৭ কিলোমিটার পার হতে বড়োজোর ২০ মিনিট সময় লাগার কথা থাকলেও এখন ১ ঘণ্টা সময়েও পার হতে কষ্ট হচ্ছে। সড়কের কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সরজমিন সোনাপুর-চৌরাস্তা সড়কের উত্তর সোনাপুর, দত্তেরহাট, মাইজদী ও মাইজদী বাজার অংশ ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা। ফোর লেনের জন্য প্রশস্তকরণ কাজ চলমান থাকায় সড়কের পাশে মাটি খুঁড়ে বড় বড় বক্স (গর্ত) করা হয়েছে। কোথাও বক্স বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে। বক্সজুড়ে জমাট বেঁধেছে পানি। পানির কারণে মূল সড়কের পিচ ঢালাই-খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে কাদা মাটিতে স্যাঁতসেঁঁতে পুরো সড়ক। এক রাস্তার নোয়াখালী শহরে বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় একই সময়ে একই সড়ক দিয়ে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এতে যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, সোনাপুর-চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৩.৩৮ কিলোমিটার সড়ক অংশের ৩টি প্যাকেজের মধ্যে ২ ও ৩ নম্বর প্যাকেজের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ এখনো বাকি আছে। ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড ও ইনফ্রাটেক নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহ জানান, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে। তবে শহরের স্থাপনা এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন যথাসময়ে সরিয়ে না নেয়ায় কাজ এগুতে পারিনি। অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, কাজের ইস্টিমেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা প্রতিনিয়তই সড়ক বিভাগ তদারকি করছে। তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই বড় গর্তগুলোতে ইট-বালু ফেলে খানাখন্দ পূরণ করা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ইট-বালু সরে গিয়ে কাদা মাটি আর পানি জমাট বাঁধছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহর মুঠোফোনে শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত একাধিক সাংবাদিকের মোবাইল থেকে কল করলে তিনি মোবাইলের কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়