রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের একটি অবৈধ বালুমহালে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে চাকমারকুল বাঁকখালী নদীর এই বালুমহালের পাশের একটি বাড়ি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন, নল ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অভিযান শেষে রিগ্যান চাকমা জানান, বৈধ ইজারাদারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এভাবে নিয়মিত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া এসব অবৈধ উত্তোলনের বিষয়ে সাধারণ মানুষ যাতে সজাগ থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি।
এদিকে অভিযানের সময় চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, বাঁকখালী নদীর এই অংশে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বালু তুলছে একটি মহল। আগেভাগে অভিযানের খবর পেয়ে তারা শ্যালো মেশিন পাশের একটি বাড়িতে রেখে পালিয়েছে। এখন আমার জিম্মায় এ বালুমহাল দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে বৈধভাবে ইজারা নিলেও অনেক ইজারাদারও শর্ত ভেঙে বালু তুলছেন। শ্যালো মেশিন ও ডিজিটাল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলতে দেখা গেছে বাঁকখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে।
বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে এর আগেও বিভিন্ন দফায় নদীভাঙন হয়েছে গর্জনিয়া, কাউয়ারখোপ ও রাজারকুলের কয়েকটি অংশে। তাছাড়া ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কারণে নদীতে অগভীর গর্ত তৈরি হওয়ায় অনেক শিশু ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।