ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

‘অবৈধভাবে’ চাল মজুতের মামলা : আগাম জামিন নিলেন স্কয়ারের অঞ্জন চৌধুরী

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পাঁচ হাজার টনেরও বেশি চাল অবধৈভাবে মজুতের অভিযোগে করা মামলায় স্কয়ার গ্রুপের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহ পর তাকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ বাজারে স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজের গুদামে গত ৩১ মে বিকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত কোম্পানির ৬টি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল জব্দ করে স্থানীয় প্রশাসন। দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মঈদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কাগজপত্র ও মিলে চাল মজুতের হিসাব চাওয়া হলে মিলের ইনচার্জ জায়েদ হোসেন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মিলের কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলেন। অভিযান শেষে রাত আড়াইটার দিকে মিলের ছয়টি গুদামে রাখা চাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জিম্মায় দেয়া হয়। পরদিন ১ জুন অবৈধভাবে চাল মজুতের অপরাধে দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায় বাদী হয়ে মিলের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী ও মিলের ইনচার্জ জায়েদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন এবং মিলের ইনচার্জ জায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, জব্দ চালের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪১ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মঈদ বলেন, আমাদের অভিযানে কোম্পানিটির ছয়টি গুদামে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল পাওয়া যায়। তবে মিলের অনুমোদন রয়েছে মাত্র ৩১২ টন। সে হিসেবে চার হাজার টনের বেশি চাল মিলে মজুত ছিল।

এত পরিমাণ চাল জব্দ হওয়ায় এটির বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা সম্ভব নয়, তাই অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়