ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

‘অগ্নিযোদ্ধা’ রনির মৃত্যুতে শেরপুরে শোকের ছায়া

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মধ্যে অন্যতম শেরপুর জেলার রমজানুল ইসলাম রনি (২৫)। সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা গ্রামের আকরাম হোসেন ওরফে আঙুরের ছেলে রনি। তার মৃত্যুতে নিজ গ্রামসহ পুরো আশপাশের এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে কর্মী হিসেবে যোগ দেন রনি এবং তিন মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বদলি হন। তিনি আট মাস আগে বিয়ে করে স্ত্রী রুপাকে নিয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রমজানুল ইসলাম রনি। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে অন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তার পরিবারকে জানান, দায়িত্ব পালনকালে কন্টেইনার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রনি মারা যান।
এ বিষয়ে রনির মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. মুকুল আহমেদ বলেন, রনি দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে তার চাকরি হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পোস্টিং হয়। আর সেখানেই সে চাকরিরত ছিল।
তিনি আরো বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় সহকর্মীদের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আগুন নেভাতে যায় সে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার মরদেহ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম হাসপাতাল মর্গে রনির মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিকৃত মরদেহের ছবি ও গেঞ্জি দেখে তিনি শনাক্ত করেন। বর্তমানে রনির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে বলে জানান তিনি। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়