প্রশ্নফাঁস : মাউশির অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

আগের সংবাদ

জীবনযাত্রায় চাপ আরো বাড়বে : গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব : শিল্প ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে > সব পণ্যেরই দাম বাড়বে

পরের সংবাদ

স্বর্ণ হলো মাদক : সাতক্ষীরার সাবেক এসপি আলতাফ চাকরিচ্যুত

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাড়ে ৫ বছর আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় চোরাকারবারির কাছ থেকে জব্দ করা ১২০ ভরি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনায় চাকরি হারাতে হলো সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেনকে। গত বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আলতাফ হোসেন সর্বশেষ ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট জোনের এসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর (খ) অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপণ জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। যদিও এ বিষয়ে আলতাফ হোসেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে পরের বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ছিলেন। ২০১৬ সালের ৬
অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে ১২০ ভরি স্বর্ণ জব্দ করে তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে জানানো হয়। ওই ঘটনায় থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা না করে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়। পুরো ঘটনাটিকে মাদক উদ্ধার বলে চালিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় এসপি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০১৯ সালের ৪ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। একই বছরের ৪ আগস্ট অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। ওই বছরের ২১ অক্টোবর তিনি ব্যক্তিগত শুনানিতে উপস্থিত হন।
শুনানিতে তার বক্তব্য যথাযথ মনে না হলে ২০২০ সালের ২৫ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আতাউল কিবরিয়াকে বিভাগীয় মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আলতাফ হোসেনকে একই বছরের ৩ নভেম্বর আরেকটি কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি নোটিসের জবাব দেন। তার জবাব যথাযথ না হওয়ায় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে মতামত চাওয়া হয়। কমিশন ৪ এপ্রিল প্রস্তাবিত দণ্ডের সঙ্গে একমত পোষণ করে রাষ্ট্রপতির নির্দেশের জন্য পাঠায়। অবশেষে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপণ তারিখের দিন থেকে চাকরিচ্যুতি কার্যকর হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়