নতুন রোগী ২২ : করোনায় টানা ২৪ দিন মৃত্যুহীন দেশ

আগের সংবাদ

দেশে ফিরে রাঘববোয়ালদের নাম ফাঁস করতে চান পি কে

পরের সংবাদ

পি কে কাণ্ডে ভারতেও তোলপাড় : তিন দেশের পাসপোর্ট উদ্ধার, তৃণমূল-বাম দায় ঠেলাঠেলি, তদন্তে যুক্ত হতে পারে সিবিআই

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সত্যজিৎ চক্রবর্তী, কলকাতা থেকে : ভারতের অর্থসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের আটক হওয়ার পর সেখানে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পি কে হালদারকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সম্পদের বহর দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কত দিনে কলকাতায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেন? সম্পদ কি শুধু কলকাতায়ই, নাকি ভারতের অন্য কোনো শহরেও আছে? দেশটির অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা (ইডি) সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, শনিবার পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ-গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে আটক পি কে হালদারের কাছে তিন দেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও গ্রেনাডা- এই তিন দেশের পাসপোর্ট নিয়ে তিনি অনায়াসে পাড়ি জমাতেন বলে ইডি সূত্র জানিয়েছে।
ইডির একটি সূত্র রবিবার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে ১১ স্থানে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে এবং সীমান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপরেই ইডি এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে এই তল্লাশির সময় তার অন্য ৫ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইডি জানায়, ভারতীয় নাগরিক শিবশঙ্কর হালদারের ছদ্মবেশে পি কে হালদারকে পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানের সময় তার এবং অন্যান্য সহযোগীরা জালিয়াতি করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান এবং আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন। ইডি নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশি নাগরিকরা জালিয়াতি করে তৈরি করা পরিচয়ের ভিত্তিতে ভারতে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেছে। কোম্পানি পরিচালনা করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বিপুল

পরিমাণে সম্পত্তিও কিনেছে। ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২’-এর আওতায় ক্রস বর্ডার ইমপ্লিকেশনের অপরাধে মামলাটি হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি জানিয়েছে, তার কাছ থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের পাসপোর্ট ছাড়াও গ্রেনাডার পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। এটাও জানা গেছে, ইন্টারপোল প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস (আরসিএন) জারি করেছে। ইডি পিএমএলএ, ২০০২-এর অধীনে মাস্টারমাইন্ড হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সকল গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিশেষ আদালতে (পিএমএলএ) হাজির করা হয়েছিল যেখানে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজনকে এনফোর্সমেন্ট হেফাজতে এবং একজন অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অন্য পাঁচ আসামি হলেন- স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পি কে হালদারকে নিয়ে কলকাতায় নতুন রাজনীতির প্লট শুরু হতে চলেছে। বিশেষ করে গত ১৫-২০ বছর ধরে পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধা যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ তৈরি করেছেন, তার জন্য তিনি সেখানকার বাম রাজনৈতিক দল নাকি তৃণমূল কংগ্রেসকে টাকা দিয়েছেন- সেটি এখন বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে তদন্ত শুরু করছে ইডি। একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, তদন্তের কাজে ইডির সঙ্গে দেশটির আরেক গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইও যুক্ত হতে পারে। কারণ ঘটনাটি শুধু পি কে হালদারের আর্থিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পি কে হালদারের সম্পত্তি, নাগরিক পরিচয়পত্র তৈরি এবং ভারতে প্রবেশসহ বেশকিছু স্পর্শকাতর বিষয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, একাধিক জায়গায় জমি কেনা থেকে বাড়ি তৈরি করতে দরকার হয় নাগরিক পরিচয়পত্রের। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তা ছাড়া পি কে হালদাররা এসব কখনোই তৈরি করতে পারবেন না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব কাগজপত্র তৈরিতে কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে- তা তদন্তকারীদের বের করতে হবে। এসব বিষয় মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে আগামী দিনে।
ইডির হাতে পি কে হালদারসহ ৬ জন গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গতকাল রবিবার মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী তথা হাবড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই বিষয়ে তিনি জানান, আইন আইনের পথে চলবে। এখানে কাউকে রেয়াত করা হবে না। যেই এ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্র্ড তৈরিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সহায়তা ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা মানতে চাননি পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি কোনো আলটপকা মন্তব্য করতে পারি না। আমি তথ্য জেনে তারপর মন্তব্য করতে পারি। কারণ আমি একজন মন্ত্রী। তার মতে, এ রকম ঘটনা যদি হয়ে থাকে তাহলে তার প্রমাণ আমার কাছে দিন। তার অভিমত, গণমাধ্যমের কর্মীদের মুখের কথার ওপর ভিত্তি করে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রীর মন্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়েছে, আগামী দিনে পি কে হালদারকে নিয়ে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস, বিরোধী বিজেপি এবং বামফ্রন্টের মধ্যে ‘রাজনীতি’। কারণ, একজন বাংলাদেশি নাগরিক কলকাতায় জমি কিনে সেই জমির রেজিস্ট্রি থেকে মিউটেশন এবং ভবন তৈরির প্ল্যান কি করে পাস করালেন সেই প্রশ্নের উত্তর বনমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে মিলছে না। কারণ এগুলো করতে প্রয়োজন হয় নাগরিক পরিচয়পত্রের। ধৃতদের পরিবার দাবি করছে, তারা বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেরই নাগরিক। তাদের কাছে দুই দেশের নাগরিক পরিচয়পত্রের একাধিক প্রমাণও আছে। টাকার বিনিময়ে সেগুলো তৈরি করেছেন তারা। এরই মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের বিশিষ্টজনরা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধাদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতির যোগসূত্র ছাড়া কোনোভাবেই এই বিশাল ‘সাম্রাজ্য’ তৈরি করা সম্ভব নয়। তাহলে সেই তারা কারা?
এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও পশ্চিমবঙ্গের সিপিএমের সাবেক মহাসচিব বিমান বসু বলেন, বাংলাদেশি সন্ত্রাসীদের জন্য ভারত অভয়াশ্রম হয়ে উঠছে। পিওবি নিউজকে দেয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধরা হয়েছিল। বাংলাদেশে অপরাধ করে ভারতে পালিয়ে আসা যেন খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, আমি শুনেছি বাংলাদেশের অনেক হিন্দু ভারতে জমি ও বাড়ি কিনে ব্যবসাও শুরু করেছে। কলকাতা পিয়ারলেস হাসপাতালের আশপাশে অনেক বাংলাদেশির সম্পদ আছে। তিনি দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জি সরকারের সময়ই অপরাধীরা এমন সুযোগ পেয়েছে। তার মতে, ভারত সরকার সন্ত্রাসীদের ধরে ঠিকই বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে পালিয়ে থাকা মুজিব হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
এদিকে অশোকনগর ঘুরে জানা গেছে, পি কে হালদাররা সেখানে বাড়িগুলো তৈরি করেছে ১৫-২০ বছর আগে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের বয়স ১১ বছর পেরিয়েছে সবেমাত্র। তার আগে ছিল বাম শাসন। প্রতিবেশীদের দাবি মানলে বাম শাসনামলে পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধাদের সম্পত্তি কেনাসহ প্রাসাদের মতো ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যদিও কিছু জমি কেনা এবং বাড়ি তৈরি হয়েছে বর্তমান তৃণমূল শাসনামলে। প্রতিবেশীদের দেয়া তথ্যমতে, বাম এবং তৃণমূল শাসনামলেই পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধাদের সম্পত্তি কেনা এবং বাড়ি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ দুই আমলের শাসক দলের নেতাদের এই কাণ্ডে জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
ইডি সূত্র জানিয়েছে, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির কার্যালয়ে দিনভর ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছেন পি কে হালদারসহ ধৃতরা। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের তরফ থেকে আসা একাধিক নাম পি কে হালদারকে দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয়, তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক। পাশাপাশি ভারতবর্ষের কোথায় কোথায় সম্পত্তি কিনে বাড়ি তৈরিসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করেছে নামে-বেনামে তার হদিসও জানতে চাওয়া হয় জেরায়। এমনকি এ দেশে এই শিকড় গাড়তে কাদের কাদের সাহায্য তারা নিয়েছিল তাদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ দেশের কাগজপত্র তৈরি, জমি কেনা, বাড়ি তৈরি এবং বেশকিছু কারখানার হদিস মিলেছে- সেগুলো কখন তৈরি করেছিল সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, পি কে এবং তার ভাইয়ের জন্য দুটি আলাদা সেট প্রশ্ন তৈরি করেছে ইডি কর্মকর্তারা। একেকটি সেটে ৫০টি প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোর উত্তর দিতে হবে পি কে হালদার এবং তার ভাই প্রাণেশ হালদারকে।
জানা গেছে, এ দিন জেরার মুখে পি কে হালদারসহ ধৃতরা কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইডি সূত্র জানিয়েছে, জেরার সময় পি কে হালদার বলেন, তিনি ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিলেন। বিশেষ করে তার ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার বলে পরিচিত সুকুমার মৃধার কারণেই তিনি ভুল পথে পরিচালিত হয়েছেন বলে দাবি তার। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর, রাজারহাট-নিউটাউন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়সহ বেশকিছু জায়গায় পি কে হালদারের বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২০০ কোটি রুপি। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে কাদের মাধ্যমে ভারতে নিয়ে আসা হয় এবং সেই অর্থ লিকুইড মানি নাকি সোনার মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল সেই বিষয়টিও নজরে রাখছে তদন্তকারী অফিসাররা। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মাছের কারবারকে ঢাল করেছিল টিম পি কে হালদার। জেরার মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে জানার চেষ্টা করছেন ইডি কর্মকর্তারা। তারা জেরা করে ভারতে পি কে হালদারের মূলত গডফাদারকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো প্রশ্ন তুলেছে, কবে পি কে হালদারসহ বাকিদের দেশে ফেরত আনা হবে? পি কে ফিরলেও তার সঙ্গে আদৌ কি ভারত থেকে টাকা ফিরবে দেশে? বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, বাংলাদেশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধৃত পি কে হালদারসহ বাকিদের নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সিবিআইকে এই তদন্তে যুক্ত করা হবে। তারপর শুরু হবে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া। জানানো হবে আদালতকে। অতঃপর বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর যদি দুই দেশের সরকারের উপর মহল সিদ্ধান্ত নেয়, আলোচনার টেবিলে বসে পি কে হালদারকে তারা বাংলাদেশে নিয়ে যাবে, সে ক্ষেত্রে ভারত যদি রাজি হয় তবে চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি বাড়িয়ে কলকাতার দায়ের হওয়া মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করে পাঠাতে হবে।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, পি কে হালদারদের ধরে পুশব্যাক করলে বিষয়টি অন্যরকম হতো এবং সে ক্ষেত্রে সময় কম লাগত। কিন্তু সমস্যা হলো বাংলাদেশ ভারতকে যে তথ্য দিয়েছে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে পি কে হালদারদের ধরা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে আনা টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হয়েছে এবং তার জন্য প্রয়োজন তদন্ত করা, যা বেশ খানিকটা সময়সাপেক্ষ। তবে ইডি ধৃতদের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা করেছে তা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। এ বিষয়ে জানতে ভারতে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন আর আজ সোমবার বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটি থাকায় আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়