করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ে ফের স্কুল বন্ধ

আগের সংবাদ

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা : ঝুঁকি মোকাবিলায় নজরদারিতে চাকরিচ্যুত পুলিশরা

পরের সংবাদ

গল্প কারিগর নিজেই যখন গল্প

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ছিমছাম সাজানো গোছানো একটা ঘর। নীল রঙের একটা বাতি মাথার ওপরে জ্বলছে। বিশাল বড় এক গোল টেবিলের একপাশে বসে আছেন আজগর আলী। আর তার ঠিক অপর প্রান্তে বসে আছে রায়ান।
এফডিসিতে এর আগেও রায়ান এসেছে। তবে আজগর আলীর সাথে তার কখনো এই ঘরে বসে কথা হয়নি।
‘ওই মিয়া তোমারে না কইলাম কিছু গরম ডায়লোগ এড করবা। পাবলিক এখন এডাল্ট কিছু শুনতে চায়। মিয়া তোমারেতো মার্কেট বুইঝা কাম করতে হইবো।’
বলতে বলতে নাকের উপরে বসে থাকা চশমাটা একটানে নাক থেকে নামিয়ে আনে এফডিসির স্বনামধন্য পরিচালক ও প্রযোজক আজগর আলী।
-স্যার আপনি কি আমার স্ক্রিপ্টটা মন দিয়ে পড়েছেন?
রায়ানের কথা শুনে আজগর আলী ক্ষেপে যায়।
-মন দিয়া পড়ি নাইতো কি ‘ধ…’ দিয়ে পড়ছি নাকি? দেখো মিয়া, মুখ খারাপ করাইয়ো না। যদি পারো আমার কথামতো একটা স্ক্রিপ্ট লেইখা নিয়া আসো। নয়তো আর এইদিকে আইসো না।
বলেই আজগর আলী স্ক্রিপ্টটা প্রায় ছুড়েই মারে রায়ানের দিকে।
রায়ান মন খারাপ করে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
সত্যজিৎ রায়ের মতো সেও একদিন গল্প লিখে দুনিয়ায় হইচই বাধিয়ে ফেলবে, তার লেখা স্ক্রিপ্টে অস্কার বিজয়ী পরিচালক মেল গিবসনের মতো কোনো এক ডিরেক্টর ওয়ার্ল্ড ক্লাস মুভি বানাবে- এমন এক স্বপ্ন বুকের একটা কোণায় রায়ান রেখে দিয়েছে। কিন্তু স্বপ্ন সত্যিতে রূপ দেয়াটা যে কতোটা কষ্টের; তা আজ আরেকবার বুঝতে পারে রায়ান।
সদরঘাট এলাকায় রায়ানের একটা কাপড়ের দোকান আছে। কিন্তু দোকানে তার মন বসে না। তার মন পড়ে থাকে ছবি পাড়ায়। যে যাই বলুক না কেনো রায়ান কিন্তু খারাপ লিখে না। কলেজে পড়ার সময়ই তার বেশ কয়েকটা লেখা জাতীয় সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিলো। সাধারণের মাঝে অসাধারণত্ব খুঁজে বের করতে রায়ান সিদ্ধহস্ত। তার লেখাতে উঠে আসে সে সমস্ত অসাধারণ গল্প একেবারে সহজ সরল নিরেট ভাষায়।

দুই.
গত দুইদিন ধরেই টানা বৃষ্টি।
তারপরেও গরম কমছে না!
রায়ান এফডিসি থেকে বের হয়েছে তাও প্রায় ঘণ্টা খানেক হলো।
সে একটা চায়ের দোকানে বসে আছে। তার সমস্ত শরীর ভেজা।
রায়ান বুঝতে পারছে না সে আসলে কী করবে! তার আজ বিকেল চারটায় আনোয়ার সাহেবের সাথে দেখা করার কথা। এখন বাজে বারোটা। বাসায় যেয়ে জামাকাপড় পালটে আসবে কিনা তার ঠিক বুঝে আসছে না। এই এক জীবনে রায়ান কোনো কিছুই ঠিকঠাক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারলো না। তবে যে করেই হোক আনোয়ার সাহেবের সাথে রায়ান আজ দেখা করবেই। সে অনেক কষ্টে সৃষ্টে আনোয়ার সাহেবের এপয়েনমেন্ট নিয়েছে।
অনেকের কাছেই শুনেছে আনোয়ার সাহেব ভালো গল্প পেলে মুভি বানাতে হেল্প করেন।
সেদিনও ঠিক আজকের মতোই টানা বৃষ্টি। আনোয়ার সাহেবের পিএস জয়নালের সাথে রায়ান একটা মিষ্টির দোকানে বসে ছিলো তাও প্রায় ঘণ্টা খানিক। এই এক ঘণ্টায় রায়ানের পকেট থেকে দুই হাজার টাকা নগদ খসিয়েছে জয়নাল।
জয়নাল মাথা চুলকে বলে,
-আরে ভাই কোনো চিন্তা কইরেন না। আপনি ঠিক জায়গা মতোই আসছেন। খালি আমার কথাডা শুনেন।
-হুম আপনার কথা শোনার জন্যই তো এতক্ষণ ধরে বসে আছি।
জয়নাল আবারো মাথা চুলকায়। মাথায় খোঁশ পাঁচড়া কিছু আছে কিনা কে জানে! রায়ান তাকিয়ে আছে জয়নালের দিকে। জয়নাল মাথা থেকে হাত নামিয়ে নাকের কাছে তার আঙ্গুলগুলো এনে শুকে। এই দৃশ্যটা দেখে রায়ানের গা গুলিয়ে আসে। রায়ান অত্যাধিক বিরক্তি নিয়ে বলে,
-ভাই আমার একটু তাড়া আছে। আপনি যা বলার তাড়াতাড়ি বলেন।
জয়নাল নাক থেকে হাত সরিয়ে রায়ানের কানের কাছে মুখ এনে বলে,
-এত ব্যস্ত হইলে চলে না ভাইজান। আমি যেই জাল পাতছি, সেই জাল এখন গুটানোর পালা। গতরাইতে আমি স্যাররে আপনার কথা কইছি।
এইটুকু বলেই জয়নাল আবারো তার হাত মাথায় তুলে নেয়। আগের চেয়েও দ্রুতগতিতে জয়নাল তার মাথা চুলকাতে থাকে।
রায়ান জয়নালের থেকে চোখ সরিয়ে নেয়।
জয়নাল হাতটা আবারো তার মুখের কাছে এনে রায়ানের দিকে তাকিয়ে হে হে করে হেসে ওঠে। তারপর বলে,
-ভাইজান, পুরান খাইছলত! নিজের গায়ের গন্ধ শুকতে মজা লাগে!
বলে আবারো হেহে করে হেসে ওঠে জয়নাল।
রায়ান চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। তারপর জয়নালের দিকে না তাকিয়েই বলে, ‘ভাই আমি গেলাম, আমার কাজ আছে।’
জয়নাল খপ করে রায়ানের ডান হাত ধরে। তারপর গোপন কথা বলার মতো করে বলে,
-আগামী মাসের পাঁচ তারিখে আনোয়ার স্যারের সাথে আপনার এপয়েনমেন্ট। ঠিক বিকেল চারটায়। স্যার কিন্তু ঘড়ি ধরা মানুষ, ব্যাপারটা খেয়াল রাইখেন।
রায়ান কি শুনলো আর কীই বা বুঝলো ঠিক বোঝা গেলো না, তবে এইটুকু বেশ ভালোই বোঝা গেছে রায়ান এখান থেকে সোজা তারা বাসায় গিয়ে ডান হাতটা সাবান দিয়ে কঁচলে কঁচলে ধুবে।

তিন.
‘ভাইজান খবর শুনছেন নাকি?’
রায়ানকে যিনি প্রশ্ন করেছেন তার হাতে সিগারেট আর মুখে পান।
রায়ান এখনো চায়ের টং দোকানটায় বসে আছে। সে মুখ ভার করে বৃষ্টি দেখছে। এই ঝুম বৃষ্টিতেও ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ছাতা তুলে স্কুলে যাচ্ছে। ‘আহা দেশতো দুর্বার গতিতে আগাচ্ছে।’ মনে মনে হাসে রায়ান।
রায়ান কিছু বলে না দেখে এবার লোকটা তার কনুই দিয়ে রায়ানকে এক গুতো মেরে বলে,
-পেপারডায় এট্টু চোখ বুলান। মজা পাইবেন।
মজা পাবার জন্যই রায়ান পেপারটা হাতে নেয়। কিন্তু তার চোখ একটা ছবিতে আটকে যায়। ফুটফুটে একটা শিশু। কপালে ব্যান্ডেজ বাধা। ছবিটা থেকে চোখ সরিয়ে রায়ান এবার খবরটা পড়তে শুরু করে।
তো ঘটনার সারাংশ হলো- গতকাল রাত বারোটার দিকে উত্তরার বারো নাম্বার সেক্টরে, রাস্তার পাশে পলিথিনে প্যাঁচানো অবস্থায় ছবির বাচ্চাটাকে পাওয়া যায়। দুইজন রিকশাওয়ালা শিশুটাকে উত্তরার একটা নার্সিং হোমে রেখে আসে। শিশুটার কপাল কেটে তখন রক্ত ঝরছিল। এখন পর্যন্ত নবজাতকের পিতামাতার কোনো সন্ধ্যান কেউ দিতে পারেনি। ডাক্তাররা বলছেন- নবজাতকের ডান পা বা পায়ের তুলনায় প্রায় এক ইঞ্চি ছোট!
এইটুকু পড়ে পান খাওয়া লোকটাকে কাগজটা ফেরত দেয় রায়ান।
লোকটা এখনো হাসছে।
তারপর চোখ ছোট ছোট করে বলে,
‘আকাম কুকামের ফল ছোট-বড়, ত্যাড়া-ব্যাকা হইবো নাতো কি হইবো! তাও যদি হাত পাও ঠিক থাকতো মানুষ পালতে নিতো। এই জাউরারে এহোন কে নিবো!’
কথাটা শুনে রায়ানের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। সে চোখ গরম করে লোকটার দিকে তাকায়। মানুষটা এই প্রথম রায়ানকে ভয় পেতে শুরু করে। হাতের সিগারেটটা ফেলে দিয়ে সে রায়ানের কাছ থেকে সরে বসে।
রায়ান লোকটার দিকে তাকিয়ে তার শার্টের হাতা গোটাতে থাকে। তাকে ঝেড়ে একটা ধমক দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু রায়ানের হাতে সময় নেই। তাকে এক্ষুণি আনোয়ার সাহেবের কাছে যেতে হবে। বাবা দিবসের জন্য যেই গল্পটা রায়ান লিখেছে তা আনোয়ার সাহেবকে আজই দেখাতে হবে!
বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। রায়ান হেঁটে হেঁটে বড় রাস্তার মাঝামাঝি চলে আসে। তারপর এখান থেকে রিকশা নিয়ে মগবাজার।
রায়ান হাঁটছে আর ঘড়ি দেখছে। আকাশে সূর্যটা তখন আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে। রায়ানের হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছে। রায়ান মনেমনে ভাবছে তার লেখা চরিত্র- কায়সারের কথা। কায়সারের পুরো জীবনটাই তার ব্যাগে রাখা আছে। আনোয়ার সাহেবের কাছে স্ক্রিপ্টের এই কায়সারকেই নিয়ে যাচ্ছে রায়ান।
রায়ান নিশ্চিত, এইবারের বাবা দিবসের জন্য যে মুভি বানানো হবে সেখানে তার এ গল্পটা থাকবেই। রায়ানের পাশ দিয়ে সাঁইসাঁই করে বাস চলে যায়। রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানি ডিঙিয়ে সে হাঁটতে থাকে। হঠাৎই রায়ানের মনে হয়,
‘আচ্ছা আমিতো কায়সারকে সুন্দর একটা জীবন দিতে পারতাম! কায়সারকে একটা চমৎকার পরিবার দিতে পারতাম! যেখানে ছেলেটার মা থাকতো, বাবা থাকতো, সুন্দর সাজানো গুছানো একটা জীবন থাকতো!’
ভাবতে ভাবতেই রায়ানের মনটা খারাপ হয়ে যায়।
‘অই মিয়া সইরা দাঁড়ান।’
রায়ানের ঠিক পেছনেই এক বুড়ো মতোন রিকশাওয়ালা রায়ানকে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে বলছে।
রায়ান ফুটপাতে উঠে আসে। আর একটুখানি সামনে এগিয়েই সে রিকশা নিবে। তারপর সে যাবে উত্তরায়।
‘কই যাবো?’
রায়ান অবাক হয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করে।
‘আমিতো যাবো মগবাজার। তাহলে উত্তরার কথা মাথায় আসলো কেনো?’
রায়ানের মাথা আউলে যায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে সংবাদপত্রে দেখা বাচ্চা ছেলেটার ছবি। রায়ান থমকে দাঁড়ায়। প্যান্টের পকেটে পলিথিনে মোড়ানো সিগারেটের বাক্সটা খুলে একটা সিগারেট ধরায়।
তারপর লম্বা কয়েকটা টান দিয়ে সিগারেটটা ফেলে দেয়। ঝলমলে আলো তখন চারদিকে। মানুষের তবুও বিরাম নেই। একা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে রায়ান। তার আশপাশের মানুষগুলো ছুটে চলছে অবিরাম। আলো দেখার এতো সময় কই তাদের!

চার.
রায়ান হসপিটালে এসেছে অনেকক্ষণ হলো। তার আনোয়ার সাহেবের কাছে আর যাওয়া হয়নি।
বারান্দায় রাখা চেয়ারে রায়ান বসে আছে। রিসিপশনের মেয়েটা তার দিকে একটু পরপর আঁড় চোখে তাকায়।
‘আপনি নাকি গত রাতে উদ্ধার হওয়া বাচ্চাটাকে নিতে এসেছেন?’
সাদা এপ্রোন পরা একজন ডাক্তার রায়ানকে প্রশ্ন করে।
রায়ান হঠাৎ এমন প্রশ্নে প্রথমে একটু অপ্রস্তুত হলেও পরোক্ষণেই নিজেকে সে সামলে নেয়। রায়ান ডাক্তারের প্রশ্নের উত্তরে উপরে নিচে মাথা দোলায়।
-আপনি কি বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি?
রায়ানের পাশের চেয়ারটায় বসতে বসতে ডাক্তারের আবারো প্রশ্ন।
রায়ান এবার সরাসরি ডাক্তারের চোখে চোখ রেখে বলে,
-আমি ছেলেটাকে কখনোই, কোনভাবেই কায়সার হতে দিবো না, আর তাই ওকে আমার নিতে আসা!
ডাক্তার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
-কায়সার? কে এই কায়সার?
মুচকি হেসে রায়ান হাত দিয়ে তার ব্যাগটা দেখায়।
ডাক্তারের চোখে তখন রাজ্যের বিস্ময়। তিনি মোটামুটি নিশ্চিত- তার সামনে দাঁড়ানো এই লোকটা পাগলা কিসিমের। ডাক্তার পাগল আর ঘাটাতে চাইলো না।
-সে যাইহোক, আপনি জানেন কি না জানি না। এভাবে বাচ্চা দেয়া যায় না। আপনাকে কিছু পেপার সাইন করতে হবে। আপনি যে বাচ্চাটার দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন পেপারসে সে সম্পর্কে একটা ডিকলারেশানও থাকবে ।
রায়ান কিছু না বলে মাথা নেড়ে সায় দেয়। সে বুঝতে পেরেছে।
আরো আধা ঘন্টা পর!
রায়ান বাচ্চাটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ‘আহা কী সুন্দর করেই না ছেলেটা হাত পা নাড়ছে! ছেলেটার খুব সুন্দর একটা নাম ঠিক করতে হবে। বেশ কিছু কেনাকাটাও করতে হবে।’
বাচ্চা ছেলেটা পিটপিট করে রায়ানের দিকে তাকায়। রায়ান ছেলেটার দিকে হাত বাড়ায়। কী আশ্চর্য, ছেলেটা খিলখিল করে হাসছে!
-কীরে ব্যাটা, তুই কি আমার গল্পের নায়ক হবি?
রায়ানের পুরো মুখ তখন হাসিহাসি।
ইতোমধ্যে সমস্ত পেপারস রেডি হয়ে গেছে। রায়ান কাগজ হাতে নিয়ে তা পড়ে দেখে।
-কী ব্যাপার, বাবার নাম লিখেননি কেন?
রায়ান প্রশ্ন করে।
-বাবার নামতো আমরা জানি না!
বুড়ো মতোন এক নার্সের উত্তর।

রায়ান তার ব্যাগ থেকে কলমটা বের করে। তারপর কাগজটায় বাচ্চা ছেলেটার বাবার নামের জায়গায় খুব সুন্দর করে গোটা গোটা অক্ষরে নিজের নামটা লিখে।
‘রায়ান মাহমুদ’- এই নামটা রায়ান তার এই জীবনে অনেকবার লিখেছে। কিন্তু এতোটা আনন্দ তার কখনোই হয়নি।
আনন্দে রায়ানের চোখ ভিজে যায়।
সে অতি গোপনে তার চোখ মুছতে গিয়ে দেখে কেবিনে সবার চোখই ছলছলে!
গল্প কারিগরদের এ পৃথিবীতে জম্মই হয়েছে গল্প সৃষ্টির জন্যে। কিন্তু কখনো কখনো রায়ান মাহমুদরা নিজের অজান্তেই হয়ে যান মায়াবী কোনো এক গল্প!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়