৬১ জেলা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা : দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা

আগের সংবাদ

সংঘর্ষের সূত্রপাত যেভাবে

পরের সংবাদ

অনলাইন প্রতারণা : পার্সেলে ছেঁড়া কাপড় পাঠিয়ে মাসে আয় ৩৫ লাখ টাকা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অনলাইনের বিভিন্ন পেজে কম দামে আকর্ষণীয় কাপড়ের বিজ্ঞাপন দেখে অর্ডার করতেন ক্রেতারা। ক্যাশঅন ডেলিভারির নামে আগেই টাকা নিয়ে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে পাঠানো হতো পার্সেল। সেই পার্সেল গ্রহণের পরে ক্রেতা দেখতেন তাকে পাঠানো হয়েছে নি¤œমানের ছেঁড়া ও অব্যবহারযোগ্য কাপড়। পরে অনলাইন পেজটিতে যোগাযোগ করলে ক্রেতাকে ব্লক করে দেয়া হতো। এভাবে প্রতিদিন ১০০-১৫০ জন ক্রেতাকে ঠকিয়ে মাসে ৩০-৩৫ লাখ টাকা আয় করা একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. বাপ্পি হাসান, মো. আরিফুল ওরফে হারিসুল, মো. সোহাগ হোসেন, মো. বিপ্লব শেখ ও নুর মোহাম্মদ। গত রবিবার রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্যবহার অযোগ্য ও অতি নি¤œমানের পুরাতন ছেঁড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি পিসসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. রাজীব আল মাসুদ জানান, চক্রটি ৫-৬ বছর যাবত ছেঁড়া অব্যবহারযোগ্য কাপড় পার্সেলে পাঠিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। পার্সেল পাঠাতে তাদের সহযোগিতা করত কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহনের ৫-৭ জন। কুরিয়ার করতে প্রতিটি পার্সেলে অতিরিক্ত ৫০ টাকা করে নিত এসএ পরিবহনের অসাধু ওই সদস্যরা। তাদের সবার নাম পাওয়া গেছে।
ডিসি মাসুদ আরো বলেন, ছেঁড়া কাপড় পাওয়ার পর ক্রেতা টাকা ফেরত চাইলে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করে ব্লক করে দেয়া হতো। তাছাড়া সবাই অল্প টাকার পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ায় লজ্জায় কাউকে জানাতো না, এমনকি থানায় অভিযোগও করত না। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে আসছিল চক্রের সদস্যরা। তাদের মোট ২১টি ফেসবুক পেজ শনাক্ত করা হয়েছে। কোনো পেজে যদি ক্রেতারা তাদের প্রতারণার বিষয়টি কমেন্ট করে জানাতো, তাহলে চক্রের সদস্যরা সেই পেজ বন্ধ করে দিত। নড়াইলে থাকা এ চক্রের অন্য সদস্যদেরও নাম পাওয়া গেছে। তাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এই ডিবি কর্মকর্তা। ঈদকে ঘিরে অনলাইন প্রতারকরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি মনিটরের জন্য আলাদা সেল রয়েছে। তারাই ভালো বলতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়