হাইকোর্টেও জামিন পেলেন না জি কে শামীমের মা

আগের সংবাদ

নিরাপত্তা চুক্তির ধরন কী হবে : ঢাকা-ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সংলাপ শেষ

পরের সংবাদ

হাওরের বাঁধে অনিয়মের খেসারত : অনেক স্থানে ভাঙন, ডুবছে ফসল, উৎকণ্ঠায় কৃষক, পিআইসিতে নেই স্থানীয়রা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছেন হাজারো কৃষক। চোখের সামনে সোনালি ধানের স্বপ্ন ডুবে দিশাহারা তারা। হাওরের বাঁধ নির্মাণে প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি (পিআইসি) গঠনে অনিয়মের কারণে যথাযথভাবে বাঁধ নির্মিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরের লোক পিআইসি সভাপতি হয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন। এছাড়া বাঁধগুলোর সেøাপ, দুরমুজ হয়নি। সময় মতো ঘাস লাগায়নি। ফলে বাঁধগুলো টেকসই হয়নি। এ কারণে অধিকাংশ বাঁধ পানির প্রথম ধাক্কায় ভেঙে যাচ্ছে। পানির নিচে চলে যাচ্ছে হাওরের শত শত একরের ফসল। আমাদের প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে নদীর পানি হাওরের বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার একর ফসলি জমি পানির নিচে চলে যাচ্ছে।
এবার ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জের ৫৩৫ কিলোমিটারে ৭২৯টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ৪৩ নম্বর পিআইসির সভাপতি কৃষক মো. গোলেনুর মিয়া। তার নাম ব্যবহার করে আরেকজন পিআইসি এনেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নদীতে পানি আসায় বাঁধ এখন নড়বড়ে। এতে শঙ্কিত গোলেনুর বলেন, বিপদে পড়ে কাজ করতে গেছেন, মূলত টাকা-পয়সা নিচ্ছে অন্যজন।
শুধু মাটিয়ান হাওরের ৪৩ নম্বর বাঁধ নয়, তাহিরপুরের ৬৮টি পিআইসির ৫৩ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধে এ রকম অনিয়ম হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধে মাটি ফেলার ৬ ইঞ্চি পরপর কমপ্রেকশন করার কথা। এছাড়া কাজ শেষ হওয়ার পর বাঁধের উপর ঘাস লাগানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়মনীতি বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে না মানার কারণেই পানি বাড়ার সঙ্গে ঝুঁকি বেড়েছে।
তাহিরপুরের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পাটাবুকা গ্রামের বাসিন্দা মো. আলমগীর বলেন, আমাদের হাওরে অন্যান্য এলাকার মানুষ এসে পিআইসি করছে। যারা আমাদের এলাকার মানুষকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে (পিআইসি) কাগজে-কলমে রেখে কাজ করছে। এজন্য কিছু বাঁধের কাজ ঠিকমতো হয়নি। বাঁধগুলোর সেøাপ, দুরমুজ হয়নি। সময় মতো ঘাস লাগায়নি। মাটিয়ান হাওরের ১৮, ২০, ২১, ২২, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর পিআইসি অন্য নামমাত্র কৃষক রেখে করেছে অন্য এলাকার প্রভাবশালী মানুষ। এতে এসব বাঁধে ঝুঁকি বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক বলেন, একজন প্রভাবশালী

ব্যক্তি আমাদের এলাকার বাঁধের পিআইসি এনেছে। এখানে টাকা-পয়সার মালিক অন্য আরেকজন, নামে আরেকজন কৃষককে দিয়ে রেখেছে। আমাদের ৪৩ নম্বর পিআইসির সভাপতি নামে মাত্র আছেন, সম্পূর্ণ টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে কলকাটি নাড়েন আরেকজন।
এদিকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার চন্দ্র সোনার তাল এবং শাল্লার পুটিয়ার হাওরে বাঁধ ভেঙে কয়েক হাজার কৃষকের স্বপ্ন ডুবে গেছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলের পাশাপাশি রাজাপুর বাজারে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুব্ধ কৃষকরা বাঁধের কাজে অনিয়ম হওয়ায় তাদের সর্বনাশ হয়েছে বলে দাবি করেন।
হাওর পার্শ্ববর্তী জৈনপুরের গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়া জানান, শত শত কৃষক ২০ ঘণ্টা এই বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একই গ্রামের কৃষক কাঞ্চন ও শাহীন আলম নিজেদের সর্বনাশের কথা জানিয়ে বলেন, এই ক্ষতি পুষানোর ক্ষমতা নেই তাদের। দুই লাখ টাকা ঋণ এনে জমি করেছেন তিনি। এখন ঋণ দেবেন কীভাবে, পরিবারের কি অবস্থা হবে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৮টি হাওর রয়েছে। এরই মধ্যে অন্তত ২০টি হাওরের ৩০ হেক্টর বোরো জমির ফসল তলিয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢল ও ভারতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সুরমা, চেলা ও পিয়ানই নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় পুনর্নির্মাণের সুযোগ সেই।
জাউয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হক জানান, নোল্লার হাওর, রাউলি ও কাইতকোনা হাওরের ৬টি বাঁধ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে ইউএনও সাহেবের পরামর্শে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে পানি আটকাতে সক্ষম হই।
গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের শাল্লার পুটিয়ার হাওরের বাঁধ ভেঙে প্রায় ২০০ একর ফসল তলিয়ে গেছে। শাল্লা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু জানান, দাড়াইন নদীর পানি কূল উপচে মুক্তারপুর সেতুর পাশের বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে। এই বাঁধটিও সকাল থেকে রক্ষার চেষ্টা করছিলেন কৃষকরা। কৃষকদের ২০০ একর জমি পানিতে ডুবেছে।
তিনি বলেন, মাইকে আমরা গ্রামবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি, বাঁধ রক্ষা করার জন্য, গ্রামবাসীরা কোদাল নিয়ে আসছেন। এখন এলজিইডির সাবমার্সিবল সড়কটি মাটি দিয়ে উঁচু করা হবে এবং কার্লভার্টের নিচে মাটি দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হবে। যাতে আমরা জমির ধান রক্ষা করতে পারি। আমরা এটি করতে পারলে চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ২ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির ধান রক্ষা করতে পারব।
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও কৃষকদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পিআইসি গঠনে এবং বাঁধ নির্মাণ কাজে যদি কোনো অনিয়ম থাকে, তাহলে আমি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন এবং যারা কর্তব্য অবহেলায় অভিযুক্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সরকারি কর্মকর্তা হলে সরকারের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করব এবং পিআইসি হলে সরাসরি মামলা করা হবে। এছাড়া জনপ্রতিনিধি দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে সুপারিশ করা হবে।
পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার বাঁধে ফাটল : নেত্রকোনায় ১৩৪টি ছোট-বড় হাওর রক্ষা করতে এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৮২ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামত করেছে। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে পাহাড়ি পানির প্রথম ধাক্কাতে অধিকাংশ বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল আহমদ জানান, বাঁধ ভেঙে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, বারহাট্টার কমপক্ষে ২০০০ হেক্টর ফসল ডুববে। তিনি বলেন, ১০-১২ দিন আগে এই বাঁধের কাজ হয়েছে। বাঁধের কাজ করেছে দয়ালপুর গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। সে কৃষক নয়, তাকে কীভাবে কাজ দেয়া হলো আমরা জানি না। অসময়ে এই বাঁধ হওয়ায় পানির প্রথম ধাক্কায়ই ভেঙে গেছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান বলেন, খালিয়াজুড়ির ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বেশ কয়েকটি ফসল রক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ইতোমধ্যে খালিয়াজুড়ির কীর্তনখোলা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা মিলে বাঁধ মেরামতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, বাঁধ রক্ষায় প্রশাসনের সহায়তা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা মিলে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেয়ার জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরের নদনদীর পানি বেড়ে নদীর চর এলাকা ও নদীর তীরবর্তী নতুন নতুন নিচু জমি প্লাবিত হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের একমাত্র স্বপ্নের বোরো ফসল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরের কৃষকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত অস্থায়ী ও দুর্বল বাঁধ ভেঙে পানি পুরো হাওওে ঢোকার আশঙ্কায় ঘুম আসছে না কৃষক পরিবারের সদস্যদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মেরামতের কাজ অব্যাহত রেখেছে। চারদিনে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত করা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন।
সরজমিন হাওরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওরের ধনু, কালনি নদীতে পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর চরাঞ্চল ও নিচু বোরো জমিতে পানি ঢুকে শত শত একর বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় কৃষকরা মেরামত করেছেন। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জিউলের বাঁধে মাটির বস্তা, চট ও বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। এ বাঁধটি কোনো কারণে ভেঙে গেলে বিকল্প আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। মিঠামইনের হাসনপুরের বেড়িবাঁধে কয়েকটি ট্রাক দিয়ে মাটি ফেলা হচ্ছে। নিকলী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, এ বাঁধটি ভেঙে কিছু পানি নামার হাওরে ঢুকেছিল। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে প্রতিদিন ৪/৫টি ট্রাক দিয়ে মাটি ফেলা হচ্ছে। এ বাঁধটি ভেঙে গেলে মিঠামইন, নিকলী ও করিমগঞ্জের কয়েক হাজার কৃষকের বোরো জমি পানিতে তলিয়ে যাবে।
জিউলের বাঁধ পরিদর্শনকালে ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধূরী কামরুল হাসান জানান, ফসল রক্ষা বাঁধগুলো প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। অনেক বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। হাওরের মানুষ এখনো তাদের স্বপ্নের বোরো ধান কাটতে অধীর আগ্রহে বসে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সব বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। হাওরে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কৃষকরা ভালোভাবে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবে বলে তিনি জানান।
দুর্বল বাঁধ নির্মাণে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি : এদিকে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। সুনামগঞ্জে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ফসলডুবির প্রতিবাদে গতকাল সুনামগঞ্জের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিতে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াবয়দুল হক মিলনসহ নেতারা।
বক্তারা বলেন, সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ হয়নি। শেষ বেলায় এসে তাড়াহুড়ো করে বাঁধের কাজ করায় সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। দুরমুজ না করায় বাঁধের নিচ দিয়ে পানি লিক করছে। এসব কারণে দুর্বল বাঁধ ভেঙে হাওর তলিয়ে যাচ্ছে। যেসব বাঁধ ভেঙেছে সেসব পিআইসির সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে আমরা প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম, গণশুনানির মাধ্যমে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। আজ কি হলো, বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ার জন্য কাজে জড়িত তারাই দায়ী। কৃষকের সর্বনাশের জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়