সিংগাইর : সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময়

আগের সংবাদ

বাজারের আগুনে গ্যাসের ইন্ধন : দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক > নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে > জনজীবন হবে বিপর্যস্ত

পরের সংবাদ

কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স থাকা উচিত কি উচিত নয়?

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দেয়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, ‘সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের তেমন কোনো প্রয়োজন হয়তো নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না। আমরা জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করতে চাই।’ বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে সেখানে ডিগ্রি স্তরে পড়াশোনা চালু রাখার পরিকল্পনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কলেজগুলো থেকে ডিগ্রি পরীক্ষা দেবে, নানা ধরনের শর্টকোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সগুলো করানো হবে। যেগুলো অনেক বেশি কর্মমুখী, আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরিতে উপযুক্ত হবে সে ধরনের কোর্স করানো হবে। জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতেই সরকার এ পরিকল্পনা নিচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বেসরকারি অনার্স কলেজে পড়াশোনা করে অনেকেই চাকরি পান না। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়। যারা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান, তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেসরকারি কলেজগুলোকে আরো যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি পরিমাণে প্রায়োগিক জ্ঞান পাবেন। যেটা তাদের চাকরি পেতে সহায়ক হবে। দেশও উপকৃত হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এজন্য বহুমুখী উদ্যোগ জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলোতে পাঠ ও কারিকুলামকে কর্মবান্ধব করে তোলা। এজন্য বেসরকারি কলেজগুলোয় কারিগরি শিক্ষা যোগ করা উচিত।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। ডিগ্রি পাস কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্সও খোলা হবে। এদিকে অনার্স-মাস্টার্স কলেজগুলোতে ডিপ্লোমা ও শর্টকোর্স চালু করতে কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি। এ কমিটির কেউ কেউ অনার্স কোর্স বন্ধের পক্ষে নন। বলা হচ্ছে, বন্ধে গুরুত্ব নয়, গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কলেজে ডিপ্লোমা কোর্স চালুর। অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালুর পাশাপাশি যদি শর্টকোর্স ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়, তাহলে বন্ধ হলো কোথায়? কৌশল নির্ধারণী কমিটির সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমরা অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করাকে প্রাধান্য দিচ্ছি না। শর্টকোর্স বা ডিপ্লোমা চালুর বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছি। অনার্স কোর্স ধরে রেখে তার গুণমান ধরে রাখা হবে। তবে অনার্স কোর্স সীমিত করার কথাও বলেন তিনি। কমিটির সদস্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, কমিটি ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্য থেকে ১০টি ডিসিপ্লিনের ওপর কাজ করছে। বাছাই করা কলেজগুলোতে এসব ডিসিপ্লিনের ওপর ডিপ্লোমা/শর্টকোর্স চালু করা হবে। এই কোর্স চালু হবে ডিগ্রি পাস/অনার্স স্তরের পড়াশোনা শেষে। সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের এই কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। তাদের নিয়েই সিলেবাস, কারিকুলাম তৈরি হবে। ডিপ্লোমা কোর্সের বা শর্টকোর্স পরিচালনার সামর্থ্য আছে শুধু সে কলেজেই এসব ডিসিপ্লিনের কোর্সগুলো চলবে। কমিটির অন্য এক সদস্য বলেন, গ্রামে অনেক অনার্স-মাস্টার্স কলেজ রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাতেগোনা। এসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স চালুর প্রয়োজন নেই। কোনো কোনো কলেজের মানও নেই। নেই অবকাঠামো সুবিধাও। এসব কলেজ চিহ্নিত করা হচ্ছে, এসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করা হবে।
বেসরকারি কলেজের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যাদের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার তাদের ও তাদের পরিবারের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেছেন, অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিক্ষিত বেকার যাতে তৈরি না হন, শিক্ষার্থীরা যদি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চান, অনার্স-মাস্টার্স করতে চান তাদের এই কোর্সের পাশাপাশি অন্যান্য পেশাগত কোর্স করার ওপর জোর দেয়ার কথা আমরা বলছি। বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের সভাপতি নেকবর হোসেন বলেন, ২৮ বছর ধরে কোর্সগুলো চলছে। বন্ধ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। কিন্তু আমরা যখনই এমপিওভুক্তির দাবির জন্য সোচ্চার হলাম, তখনই অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরা হলো। এটা অমানবিক। কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রেখে এমপিওভুক্তির দাবি জানান তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘কোনো কোনো কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয় না। যে শিক্ষক বেতন পান না, তিনি ক্লাসে কী পড়াবেন? তখন চিন্তা করা হলো, এভাবে কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি করে ভালো মানের শিক্ষা যদি দিতে না পারি, তার চেয়ে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি পড়–ক। তারপর কিছু শর্টকোর্স ও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে দেব, যাতে চাকরি পাওয়া সহজ হয়।’
এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সারাদেশে এ ধরনের মোট ৩১৫টি সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কলেজ রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় পড়ানোর অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এসব কলেজে ৬ হাজারের মতো শিক্ষক আছেন। আর শিক্ষার্থী আছে ৭ লাখের বেশি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কেউ চাকরি হারাবেন না। এসব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলেছেন মন্ত্রী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, এই কমিটির শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়ে কিছু বলা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। তিনি জানান কলেজগুলোতে যখন অনার্স-মাস্টার্স কোর্স অনুমোদন দেয়া হয় তখন শর্ত দেয়া হয়েছিল যে, এমপিওভুক্তি দাবি করতে পারবে না। বেতন-ভাতা দেখার দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়।
ইউজিসি বলছে, মাস্টার্স স্তরের শিক্ষা শুধু বাছাই করা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত। এখানেও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা উচিত। বর্তমানে স্নাতক শেষেই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, দেশের উচ্চ স্তরে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিকে প্রান্তিক বা সর্বশেষ ডিগ্রি হিসেবে গণ্য করা হয়। কাজেই মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম কেবলমাত্র বাছাইকৃত মেধাবী স্নাতকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত। স্নাতক পর্যায়ে ডিগ্রি অর্জনের পর সরাসরি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ না রেখে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। এসব বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছে ইউজিসি। তথ্য অনুযায়ী দেশে ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি ১০৭টি মিলিয়ে মোট ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ১৯ হাজার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়ছে। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে ৫৫ হাজার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পড়ছে ২৩ হাজার। সব মিলিয়ে মাস্টার্সে পড়ছে ৪ লাখ শিক্ষার্থী। ইউজিসি বলছে এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর এই স্তরে পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও অনার্স কলেজগুলোয় মাস্টার্স পর্যায়ে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষাদান সম্ভব হচ্ছে না। ব্যানবেইসের হিসাবে দেশের ৪ হাজার ৭০০ কলেজের মধ্যে মাস্টার্স কলেজ রয়েছে ১৯১টি। এসব কলেজের মধ্যে বেশিরভাগেই নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। নেই সুযোগ-সুবিধা। ফলে এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছেন না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৪ সালে প্রকাশিত ৪১তম প্রতিবেদনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইউজিসি। সেই প্রতিবেদনেও মাস্টার্সে ঢালাও ভর্তি বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। উপরোক্ত আলোচনাগুলো, সিদ্ধান্ত নেয়ার পদক্ষেপ এবং বিরোধিতা সবই অত্যন্ত বাস্তব। আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের কলেজগুলো থেকে যারা অনার্স-মাস্টার্স করছেন ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের অনেককেই চাকরির বাজারে অনেক বেগ পেতে হয়। তাই তার পাশাপাশি একটি কর্মমুখী শিক্ষার কথা, টেকনিক্যাল এডুকেশনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। আমার মনে আছে আমি যখন বরিশাল সরকারি বিএ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ি, তখন দেখতাম অনেক বড় ভাইয়েরা সেখানে অনার্স ও মাস্টার্স পড়তেন। তাদের অনেকেই ডিগ্রি হোস্টেলে সিট না পেয়ে আমাদের উচ্চ মাধ্যমিকের হোস্টেলে থাকতেন। সেখানে তাদের বয়স্ক বাবা-মা মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন, কেউ কেউ এসে টাকা দিয়ে যেতেন। আমার তখন থেকেই মনে হতো এসব ভাই যদি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি একটি টেকনিক্যাল কাজও শিখতে পারতেন তাহলে এই বৃদ্ধ মা-বাবার কাছ থেকে অর্থ নিতে হতো না। অনেকবার পত্রিকায়ও লিখেছি, কয়েকবার বড় ফোরামেও কথা বলেছি। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। একদিকে শিক্ষার অধিকার সবার রয়েছে। শিক্ষাগ্রহণে কারোর জন্য কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। সুকুমার বৃত্তির চর্চা, মানবিক গুণাবলির চর্চা ও বিস্তার ঘটাতে হবে শিক্ষার মাধ্যমে, সেটি কলেজে হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে হোক, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানেই হোক না কেন। কর্মমুখী করার উদ্দেশ্যে শিক্ষাকে যান্ত্রিক করা যাবে না। একজন মানুষ উপার্জন করতে পারবে এজন্য তাকে মানবিক গুণাবলির চর্চা না করিয়ে শুধু উপার্জন উপযোগী করে তৈরি করলে সমাজে অর্থনৈতিক উন্নতি কিছুটা হবে হয়তো, কিন্তু মানবিক গুণাবলির কী হবে? তাই উচ্চশিক্ষার সংকোচন নয়। যে যে কাজই করুক না কেন, যে বয়সেরই হোক না কেন কেউ যদি চান যে, তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন তাকে সেই সুযোগ দিতে হবে। এটি রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। শিক্ষাকে ধরাবাধা, কঠিন নিয়মের শৃঙ্খলে আটকানো যাবে না। আবার এটিও দেখতে হবে যে, শুধু চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে কেউ যাতে পরিবার ও সমাজের প্রতি বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। এটি দেখার দায়িত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রের।

মাছুম বিল্লাহ : শিক্ষক ও লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়