রোহিঙ্গাদের কথা শুনতে ঢাকায় আইসিসির কৌঁসুলি

আগের সংবাদ

কিয়েভে ঢুকে পড়ল রুশ সেনারা : ‘নিরপেক্ষতার শর্তে’ সংলাপে রাজি মস্কো, বিশ্বের সহায়তা চেয়ে জেলেনস্কির আর্তি, প্রাণহানি ১৩৭

পরের সংবাদ

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান, প্রথম দিনেই দুই পক্ষে হতাহত শতাধিক : কিয়েভ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কিয়েভের আকাশে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের গর্জন। বাতাসে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ, বারুদের গন্ধ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনে শুরু হয়েছে রাশিয়ার সেনা অভিযান। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সীমান্ত বরাবর প্রায় দুই লাখ সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। এবার তারা অগ্রসর হচ্ছে ইউক্রেনের দিকে। ক্রিমিয়া দিয়ে তারা দলে দলে ঢুকে পড়ছে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের এমন কালো ছায়া আর কখনো দেখেনি ইউরোপ। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলছেন, পুতিনের ঘোষণার ৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধশত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। তবে প্রতিরোধে তৈরি আমরাও। এদিকে রাশিয়ার বাহিনীর হাত থেকে দেশ বাঁচাতে নাগরিকদের যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। যারা যারা অস্ত্র চাইবে তাদেরকে তা দেয়ারও প্রতিশ্রæতি দেন তিনি।
গতকাল ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারাকভের আকাশ ছেয়ে গেছে রুশ ছত্রী সেনায়। হাজারে হাজারে তারা নেমে আসছে মাটিতে। এর কিছু আগে থেকেই দেশটির রাজধানী কিয়েভের ওপর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালাতে শুরু করে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ আর মাথার ওপর সাঁই সাঁই উড়ে যাওয়া যুদ্ধবিমানের গর্জনে আতঙ্কের শহরে রূপ নিয়েছে কিয়েভ। শহরজুড়ে তীব্র সাইরেনের আওয়াজ। প্রতিটি বাঙ্কারে আতঙ্কিত জনতার ভিড়। রাস্তায় সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে শত শত গাড়ি। প্রাণভয়ে তল্পিতল্পা নিয়ে কিয়েভ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। বহু মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন মেট্রো স্টেশনে। দেশটির মেট্রো স্টেশনগুলো এমনভাবে তৈরি, যে বোমাবর্ষণেও সেগুলো আশ্রিতদের বাঁচাতে পারবে।
ইউক্রেনের সাংসদ সোফিয়া ফেডিনা এর আগে জানান, বাঙ্কারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও রাশিয়াও দাবি করছে, জনবসতি এলাকায় নয়, ইউক্রেনের সামরিক এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে। তবে ইউক্রেনের অভিযোগ, রাজধানী কিয়েভের সেনা সদরের পাশাপাশি অসামরিক বিমানবন্দর এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলায় ইউক্রেনের অন্তত ৪০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে রুশ সূত্র। পক্ষান্তরে ইউক্রেনের দাবি, তাদের পাল্টা হামলায় অন্তত ৫০ জন রুশ সেনার মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া গোলাগুলির মাঝে পড়ে নিহত হয়েছেন ইউক্রেনের অন্তত ১৮ নাগরিক। মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইউক্রেন বাহিনীর দিনভর সংঘর্ষ হয় ডনবাসে। ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র, কামান এবং ভারী মর্টার ব্যবহার করে দুপক্ষই। স্থল এবং আকাশপথের পাশাপাশি প্রথম দিনের অভিযানে অংশ নিচ্ছে রুশ নৌবাহিনীও। ইউক্রেনের উপকূলবর্তী মারিপোল এবং ওডেসায় রুশ নৌবাহিনীর উভচর যান থেকে সেনা অবতরণ শুরু হয়েছে। ফলত যুদ্ধের প্রথম দিনেই হতাহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে শতাধিক। এদিন ভোরবেলা রুশ বিমানবাহিনীর এনএন-৭২ এবং এএন-১৪৮ সামরিক পরিবহন বিমানগুলো খারাকভে কয়েক হাজার ছত্রীসেনা বহন করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সুরক্ষা দিয়ে যায় মিগ এবং সুখোই যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রনগুলো। খারাকভে ইউক্রেন সেনার বড় ঘাঁটি রয়েছে। তাদের ঘিরে ফেলতেই মস্কোর এই ঝটতি অভিযান বলে ধারণা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
সামরিকের পর সাইবার হামলা : এদিকে সামরিক হামলার পাশাপাশি সাইবার যুদ্ধেও নেমে পড়েছে রাশিয়া। সূত্র বলছে, ওয়াইপার ম্যালওয়্যার দিয়ে তথ্য মুছে দিচ্ছে রাশিয়া। সাইবার হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের ব্যাঙ্কিং এবং অর্থনীতি ব্যবস্থাকে অচল করে দেয়াই এখন রাশিয়ার লক্ষ্য। রুশ সামরিক অভিযান চালানোর পরপরই ইউক্রেনের নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ, বিদেশ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো একের পর এক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এই ম্যালওয়ার ব্যবহার করে সিস্টেমের সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হয় যা কোনোভাবেই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সামরিক দিক থেকে দুর্বল করার পাশাপাশি সাইবার হামলা চালিয়ে ইউক্রেনকে ভিতর থেকেই পঙ্গু করে দিতে চাইছে রাশিয়া।
পুতিনের কৌশলগত পরিকল্পনা : ডনবাসে সীমান্ত লঙ্ঘনের পর এবার এভাবেই সরাসরি ইউক্রেন সেনার প্রতিরক্ষা ব্যূহের ওপর আঘাত হানল রাশিয়া। একই সঙ্গে ইউক্রেন সেনাদের ‘অস্ত্র’ ছাড়ারও নির্দেশ দেন পুতিন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনদিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা করছেন পুতিন। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের হাত থেকে কেড়ে নেয়া ক্রিমিয়া থেকেও আক্রমণ চলবে। কৃষ্ণসাগরে ইতোমধ্যেই মোতায়েন হয়েছে রুশ রণতরী। ডুবোজাহাজ, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেটের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু উভচর সাঁজোয়া যান। ন্যাটো বলছে, যুদ্ধকালে দ্রুত ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে সেনা অবতরণের উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ। ক্রিমিয়ার জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি রুশ। তাদের নিয়ে ২৫ হাজার যোদ্ধার একটি বাহিনীও রয়েছে সেখানে। তাছাড়া ক্রিমিয়ায় সেবাস্তপোলে রয়েছে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত একমাত্র ‘উষ্ণ জলের বন্দর’। বছরভর ব্যবহারযোগ্য এই বন্দর থেকে রুশ নৌবাহিনী সহজেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। এছাড়া, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে কামান, ট্যাঙ্ক এবং ক্ষেপণাস্ত্র। কমপক্ষে এক ডজন ঘাঁটি থেকে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিগ-৩৫ আর সুখোই-৩৫ স্কোয়াড্রনগুলো। দ্রুত সেনা ও সরঞ্জাম বহনের জন্য প্রস্তুত রুশ এমআই-২৬ ভারী হেলিকপ্টার।
অবশ্য রুশ পক্ষে এ যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মাসাধিককাল আগে থেকে। তবে সেনা মহড়ার অছিলায় বেলারুশে রুশ সেনা অবস্থান নেয়ার পরই আশঙ্কিত হয়ে ওঠে পশ্চিমা শক্তি। তারা বলছে, পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু হলে বেলারুশ অঞ্চলে দ্রুত ‘তৃতীয় ফ্রন্টলাইন’ খুলতে পারবেন পুতিন। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ইউক্রেনের মতোই স্বাধীন প্রজাতন্ত্র বেলারুশ সরকার প্রথম থেকেই মস্কোর ঘনিষ্ঠ।
যুদ্ধে ‘অস্ত্রধারণ’ করছে না ন্যাটো : এদিকে পুতিনের ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ পর ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার ঘোষণা হলেও সেখানে সেনা পাঠানোর বিষয়ে এখনো চুপ ন্যাটো। যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর অনেক দেশ ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে অস্ত্র ধরবে না। বাইরে থেকে অস্ত্র এবং ওষুধের মতো যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করবে। ন্যাটোর অনেক অস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
অভিযানের লক্ষ্য নিয়ে ন্যাটোর আশঙ্কা : গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিনের চূড়ান্ত ঘোষণার পরপরই সীমান্তে সক্রিয় হয়ে ওঠে রুশ সেনাবাহিনী। এর আগে গত সোমবার রাতেই ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলকে (ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন পুতিন। একইসঙ্গে রুশ সেনারা ঢুকতে শুরু করে সেখানে। ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশটাই রুশ। মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো সেখানে সক্রিয়। তাদের সাহায্যে এখান থেকেই রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান শুরু করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, কিয়েভ অভিযানের পথিমধ্যে রুশ সেনারা ‘ইউক্রেনের সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত খারকাভ শহরের দখল নিয়ে নেবে। কিয়েভ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। ইউক্রেনের সেনা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারের মনোবল ভাঙাই এর উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘের আহ্বান : জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘মানবতার নামে’ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের পর তিনি বলেন, আপনার সেনাদের ফিরিয়ে নিন।
যুদ্ধে কার সমর্থন কার পক্ষে : ইউক্রেনে রুশ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে বিভিন্ন দেশ। কেউ রাশিয়াকে, কেউ ইউক্রেনকে সমর্থন দিচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন জটিলতা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল আমেরিকা। পুতিনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই যুদ্ধ ইউক্রেনে মৃত্যুর মিছিল ডেকে আনবে। হামলাকে ‘প্ররোচনাহীন এবং অযৌক্তিক’ বলেও নিন্দা করেন তিনি। এই যুদ্ধে আমেরিকা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলেও মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে এ যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনে রয়েছে চীন। দুটি দেশই অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক দিয়ে একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। রাশিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে উত্তর কোরিয়াও।
অন্যদিকে ন্যাটোভুক্ত ৩০টি দেশ আগে থেকেই রাশিয়ার আক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর হয়ে আছে। উভয়-সংকটে রয়েছে রাশিয়া সীমান্তে থাকা জোটের দেশগুলো, যেমন, বুলগেরিয়া, এস্তেনিয়া, লাটভিয়া, রুমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়ার মতো দেশগুলো যাদের ওপর একদা প্রবল রুশ প্রভাব ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ২০০৪ সালে আমেরিকা এই দেশগুলোকে ন্যাটোর আওতায় নিয়ে নেয়। যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলাতে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রুমানিয়া এবং বুলগেরিয়াতে সেনা মোতায়েন রেখেছে ন্যাটো। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ন্যাটোর ৩০টি দেশের মধ্যে ১০টারই অবস্থান রাশিয়ার কাছাকাছি।
ইউরোপীয় দেশগুলো এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান এখনো সুস্পষ্ট করেনি। রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল সরবরাহকারী নর্ড গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি তার অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পাইপলাইন, যা রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত বিস্তৃত। ইউরোপের বিদ্যুৎ নির্বিঘœ রাখতে গ্যাস পাইপলাইনের অবদান অপরিহার্য। তাই রাশিয়ার বিরুদ্ধাচরণ করলে মস্কো এই চুক্তি বাতিল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এসব দেশ। এই ভেবেই ইউরোপ সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেতে চাইছে না। বাকি দেশগুলোর তুলনায় রুশ আক্রমণ নিয়ে অনেক বেশি সরব ব্রিটেন। অন্যদিকে রুশ-ইউক্রেন দ্বৈরথে রাশিয়ারই পক্ষ নিয়েছেন নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা। ইরান-মার্কিন জটিলতায় তেহরানকে চিরকাল সমর্থন জুগিয়েছে রাশিয়া। তাই এ পরিস্থিতিতে ইরানও রাশিয়াকে সমর্থন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ থাকার কথাই ঘোষণা জারি রেখেছে ভারত। বিগত কয়েক দশক ধরেই রাশিয়া এবং ভারতের সম্পর্ক ভালো। তবে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি গোষ্ঠীর (সিএসটিও) দেশগুলো রাশিয়ার সমর্থনেই দাঁড়াচ্ছে- যেমন কাজাখস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান এবং কিরঘিজস্তান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়