হাওয়া দেয়ার সময় বাসের চাকা ফেটে তরুণের মৃত্যু

আগের সংবাদ

নতুন ইসি আগামী সপ্তাহে : কাল প্রজ্ঞাপন, বরণে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়

পরের সংবাদ

বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফের দেয়া হলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ!

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি : বদলগাছী উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক বছরের এক শিশুকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করতে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার সকালে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন টাকা দিয়ে টিকেট করে চাংলা গ্রামের হানিফ উদ্দীনের (রাজন) স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া তার এক বছরের ছেলের সর্দি কাশির চিকিৎসার সেবা নিতে গেলে তাকে ২০২০ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ এমোক্সাসিলিন পাউডার ওষুধ দেয়া হয়।
হানিফ উদ্দীন (রাজন) এবং তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমাদের এক বছরের শিশু ছেলে সাফায়েতের সর্দি কাশির চিকিৎসার জন্য বদলগাছী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার ছেলেকে দেখে ওষুধ লিখে দেন। আমি সেই সিলিপ স্টোর কিপারের কাছে দিলে আমাদের দুটি ওষুধ দিয়েছে এবং বাকি ওষুধগুলো হাসপাতালে না থাকায় বাহির থেকে কিনে নিতে পরামর্শ দিয়েছে। ওষুধগুলো বাড়িতে নিয়ে ছেলেকে খাওয়ানোর সময় দেখি হাসপাতালের ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০২০ সালে, আর আমাকে ওষুধগুলো দিয়েছে ২০২২ সালে। তিনি আরো বলেন, দুই বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো যদি আমি না দেখে আমার ছেলেকে খাওয়াতাম তাহলে আল্লাহ না করুক আমাদের ছেলের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
এড. শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেন, গত জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ তিনি তার মাকে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে গেলে তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। সমস্যা দেখা দিলে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে শ্বাসকষ্ট উপশমকারী সালবিউটামল সলিউশন, ২০২১ সালের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেয়া হয়। এ সময় তিনি হাতে নাতে ধরে ফেলেন এবং তার মাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বিরত রাখেন। পরে তিনি তার মাকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস কর্মকর্তা ডা. কানিস ফারহানা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে স্টোরকিপার এবং ওষুধ প্রদানকারীদের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া স্টোরগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনে স্টোর কিপারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দেখতে বলেছি। এই বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়