সোনারগাঁওয়ে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ ডাকাত গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

যেভাবে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : প্রতিদিন চারটি করে ক্লাস > নতুন কারিকুলাম > সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন > প্রাথমিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহ পর

পরের সংবাদ

সৈয়দপুরে মামলায়ও রোধ হচ্ছে না বাঁধের মাটি চুরি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া ও ঘৃণাই করতোয়া নদীর বাঁধের মাটি চুরি হয়ে যাচ্ছে। অপরাধী চক্র সুযোগ বুঝে দিন ও রাতে বাঁধের মাটি চুরি করে নিচ্ছে। মাটি চুরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর, ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক। বাঁধের চোরাই মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটায় ও শহরের বিভিন্ন স্থাপনার কাজে। এভাবে একটি অসাধু চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ওই দুই নদীর চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে মাটি চুরির হিড়িক পড়েছে। ড্রাম ট্রাক, ট্রলি ও ট্রাক্টরযোগে দুর্বৃত্তরা মাটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। মাটি চুরি ঠেকাতে গত মঙ্গলবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাইফুল হাসান রনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু তারপরও মাটি চুরি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মিলছে না সুফল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, খড়খড়িয়া নদীটি নীলফামারী জেলার সিংদই বিল থেকে উৎপন্ন হয়ে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে। এ নদীর বাম তীরটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ হিসেবে বলা হয়, দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দর, সেনানিবাস, দেশের বৃৃহৎ রেলওয়ে কারখানাসহ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও অধিদপ্তর সৈয়দপুরে রয়েছে। ওই বাঁধটি কোনোভাবে বর্ষাকালে বন্যার তোড়ে ভেঙে গেলে শহরটি পুরোপুরি পানির নিচে চলে যাবে। বিশেষ করে ভৌগোলিক কারণে খড়খড়িয়া নদীর বন্যার পানির স্তর থেকে সৈয়দপুর শহরটি প্রায় এক মিটার নিচুতে। সে কারণে নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে সহসাই পানিতে তলিয়ে যাবে শহরটি এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।
একই অবস্থা ঘৃনাই করতোয়া নদীর বেলায়ও ঘটেছে। এ নদীটিরও ডান তীরটি বেশ স্পর্শকাতর।
স্থানীয়রা জানান, এই নদীর এক কিলোমিটার দূরেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সেনানিবাসের অবস্থান। বর্ষাকালে নদীটি টইট¤ু^র হয়ে যায়। বাঁধে মাটি না থাকলে পানির তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে। এতে করে শহর ও গ্রাম মিলে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে যেতে পারে। হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানি নিমজ্জিত হবে। ফলে ফসল, মানুষ আর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পড়বে হুমকিতে।
এজন্য বাঁধের মাটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় অধিবাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গ্রাম পুলিশদের টহলদারি বাড়াতে দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ জানান, বাঁধের মাটি পাহারা দেয়ার মতো আমাদের জনবল নেই।
তাছাড়া স্থানীয় সমাজহৈতিষী ব্যক্তিরা জনস্বার্থে সরকারের সম্পদ রক্ষার্থে ভূমিকা না নিলে বাঁধের মাটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধের মাটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়