প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
ঢাকাই সিনেমার এ সময়ের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী শবনম বুবলী। একের পর এক সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সিনেমার ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : রোমান রায়
ব্যস্ততা কেমন উপভোগ করছেন?
ব্যস্ততা সবসময়ই উপভোগ করি। আমি মূলত কাজে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। আমার ফোকাসটা সবসময় কাজে থাকে বলেই কাজ রিলেটেড সবকিছুর মধ্যে আমাকে পাওয়া যায়। এ সময়টা করোনার জন্য গত দুই বছরে অনেক কিছুর পতন হয়ে গেছে। তবুও আমি এই পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছি। করোনা যখন চরম পর্যায়ে ছিল তখনো কাজ করে গিয়েছি। আমি কাজের ব্যস্ততা নিয়ে সবসময় থাকতে চাই।
‘টান’-এর সাফল্য আপনাকে নতুন করে কী ভাবাচ্ছে?
এটা আমার জন্য খুবই পজিটিভ একটা বিষয়। আমি সবসময় কাজে ফোকাস থেকে এরকম একটা সাফল্য যখন পাই, তখন কিন্তু কাজের গতিটা বেড়ে যায়। নিজের মধ্যে তখন অনেক উৎসাহ কাজ করে, যে সামনে আরো ভালো ভালো কাজ করতে হবে। ‘টান’ দিয়ে দর্শক থেকে শুরু করে মিডিয়ার সবাই খুব প্রশংসা করছেন। এটা খুব ভালো লাগছে দর্শকরা যখন টান নিয়ে ডিটেইলস লিখছেন, ধরে ধরে প্রতিটি চরিত্র নিয়ে লিখছেন, প্রশংসা করছেন। অবনী যে তাদের কাছাকাছি যেতে পেরেছে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। ‘টান’ আমাদের একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আমরা চেয়েছিলাম কাজটা নিয়ে দর্শকদের কাছাকাছি যাওয়ার, আর সেটা মনে হয় আমরা পেরেছি।
অভিনয়ে চরিত্র নিয়ে আপনার
ভাবনা কী?
আমি সবসময় চেষ্টা করি যে জিনিসটা আমার মাথায় থাকে সেটা হলো গল্প আর নির্মাণে কে থাকছেন। একজন ভালো নির্মাতাই একটি ভালো গল্পকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। অনেক সময় কিন্তু ভালো ভালো গল্প পরিপূর্ণ উপস্থাপনের ও এক্সিকিউশনের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। প্রথমে আমি দেখি গল্পের জায়গায় আমার কাজ করার সুযোগ কতটুকু আছে, সঙ্গে গল্পটা কতটুকু স্ট্রং, পরিচালনার জায়গা থেকে কেমন নির্দেশনা আসতে পারে- এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিই। যখন যে কাজটা করি আমি অনেস্ট থেকে আমার ডেডিকেশন, হার্ডওয়ার্কিং দিতে পারি। যেটা সবসময় আমার চেষ্টা থাকে।
সিম্ফনির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণ কী?
আমার চলচ্চিত্রে কাজ করার সময়টা খুব বেশি না, তবুও আমি কিন্তু তেমন বেশি বিজ্ঞাপনে কাজ করিনি। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে খুব লিমিটেড কাজ করি। বিজ্ঞাপনে কাজ করার ক্ষেত্রে আমি সবসময় পণ্যটা আর এর গুণগত মানের দিকে খেয়াল রাখি। আমাদের শিল্পীদের জায়গা থেকে একটা দায়বদ্ধতা কাজ করে। বিজ্ঞাপনের প্রচুর প্রস্তাব আসে। আমি বরাবরের মতো পণ্য ও তার মান কতটা সেবা দিতে পারবে তা দেখে কাজ করি। আমরা যখন একটা পণ্য লঞ্চ করি তখন কিন্তু সাধারণ জনগণের মনে আমদের প্রতি আস্থা কাজ করে। তাই সে আস্থার জায়গা থেকে আমি তাদেরকে ঠকাতে চাই না। আমি যে কাজগুলো করেছি সেখান থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছি। সে জায়গা থেকে সিম্পনির সঙ্গে আমার যাত্রাটা শুরু হলো। আমি বলব এটা সুন্দর একটা যাত্রা। রিয়াজ ভাইও আমাকে খুব সুন্দর করে ওয়েলকাম করেছেন।
সামনেই আপনার ‘তালাশ’ সিনেমাটা মুক্তি পাবে, এটা নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
আমার অনেকগুলো সিনেমা মুক্তির মিছিলে রয়েছে, তার মধ্যে খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে ‘তালাশ’ সিনেমাটি। সৈকত নাসির ভাই নিঃসন্দেহে দারুণ একজন নির্মাতা। সে জায়গা থেকে বলব- ‘তালাশ’ ভালো গল্পের একটি সিনেমা। এখানে আমাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি আশাকরি দর্শকদের পছন্দ হবে। সিনেমাটা নিয়ে অন্যরকম পরিকল্পনা আছে। আমার সঙ্গে দুজন নায়ক আছেন একজন আদর আজাদ আরেকজন আসিফ। তারা দুজনই খুব ভালো কাজ করেছেন।
আপনার কাছে ভালোবাসা দিবসের তাৎপর্যটা কী?
তাৎর্পযটা আমার কাছে মনে হয় যেটা আমি সবসময় বলি কোনো স্পেশাল ডে হয় না, সেটা নারী দিবস হোক আর ভালোবাসা দিবস হোক। শুধুমাত্র একটা দিন খুব ঘটা করে পালন করলাম; দিবস শেষ হয়ে গেলে পরে আবার যে যার মতো করে হয়ে গেল- এটা আমি চাই না। আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা দিনই ভালোবাসার দিন হোক। সেটা শুধুমাত্র কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য না। সেটা যে কেউ হতে পারে, পরিবারের বাবা, মা, ভাই, বোন কাছের সবাইকে ভালোবাসার দিবস হোক প্রতিদিন। তাহলে মনে হয় না আমাদের মধ্যে কোনো হিংসা বিদ্বেষ, হানাহানি, দুঃখ হতাশা থাকবে না। এই যে ভালোবাসা দিবসে প্রচুর ফুল বিক্রি হচ্ছে, সে ফুল কিনে বিশেষ মানুষকে দিচ্ছেন। আমাদের যদি একটু সময় করে সেটা প্রতিদিন না হোক মাঝে মাঝে মাকে একটা ফুল দিই বা পরিবারের মানুষদের নিয়ে ঘুরতে যাই, বাইরে খাওয়া-দাওয়া করি তাহলে মনে হয় সব সম্পর্ক খুব সুন্দর ও মজবুত হয়।
আপনার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা কী?
ভালোবাসার সংজ্ঞাটা এক লাইনে বলা সম্ভব না। এখানে অনেক বিষয় নির্ভর করে। যেমন সম্মান, বোঝাপড়া আর বিশ্বাস। এই তিনটা বিষয় মিলে একটা ভালোবাসা তৈরি হয়।
প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন?
হ্যাঁ অনেক পেয়েছি। আমার স্কুলজীবনে আমরা মেয়েরা মর্নিং শিফটে ছিলাম, তাই আমরা ছেলেদের চিনতাম না। কলেজ জীবনেও গার্লস ছিল। ওই সময়ে ছেলেরা আমাদের স্কুল-কলেজের সামনে ফুল নিয়ে অপেক্ষা করত প্রপোজ করার জন্য। আমার সঙ্গে সবসময় আম্মু থাকতেন, তাই ওই সুযোগটা তখন ছিল না। তখন যেটা হতো- তারা আমাদের গাড়ির পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে বা দাঁড়িয়ে আছে (হাসি)। আমার কিন্তু সে ফ্রিডমটা ছিল না। আমি আমার পরিবারের বোনদের মধ্যে ছোট, তাই দুবোন আমাকে কড়া শাসনে রাখতেন (হাসি)। আমার কাছে মজার স্মৃতি খুব কম পাওয়া যাবে (হাসি)।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।