তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত : ঝিকরগাছায় তিন শতাধিক কৃষকের বোরো চাষ বন্ধ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : ঝিকরগাছা ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এক ব্যক্তির ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গভীর নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত হয়েছে। ফলে দুটি ইউনিয়নের কয়েকশ বিঘা জমিতে বোরোধান চাষ বন্ধ রয়েছে। ঘটনায় কৃষকের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও বিষয়টির কোনো সমাধান হচ্ছে না।
জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার ছোট মেঘলা, ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের কাশিপুর, মল্লিকপুর ও লাউজানী মাঠের কয়েকশ বিঘা জমিতে তিন বছর ধরে বোরোধান চাষ বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকার শতাধিক কৃষক ধান চাষ করতে না পেরে বেশ বিপদে পড়েছেন।
বাদী সাইফুজ্জামান মামলাটি আপস-মীমাংসা করেও তা নিয়ে তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিপদগ্রস্ত চাষিদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিন দেখা গেছে, যশোর সদরের ছোট মেঘলা এবং ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর, কাশিপুর, লাউজানী মাঠের কয়েকশ বিঘা জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অথচ পাশেই অন্য মাঠে চলছে বোরোধান রোপণ।
ছোট মেঘলা গ্রামের আব্দুর রহিম ভুট্টো বলেন, এ মাঠের কয়েকশ অসহায় কৃষকের সুবিধার্তে বোরোধান চাষের লক্ষ্যে স্থানীয় স্টোন ব্রিকসের প্রোপ্রাইটর সিরাজুল ইসলাম, মিনা ব্রিকসের প্রোপ্রাইটর নবকুমার, কাঠ ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানের আর্থিক সহযোগিতায় ২০১৭ সালে ওই মাঠে একটি গভীর নলকূপ বসানোর আবেদন করা হয়। সদর উপজেলা সেচ কমিটি যাচাই-বাছাইপূর্বক ২০১৯ সালে তাদের লাইসেন্স প্রদান করেন। জানতে পেরে ঝিকরগাছা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান উল্লেখিত গভীর নলকূপের লাইসেন্স বাতিলের জন্য মামলা করে। অথচ সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন গভীর নলকূপটি রয়েছে ২ হাজার ফুটের অনেক দূরে ও নিচু স্থানে।
আব্দুর রহিম ভুট্টো জানান, এলাকাবাসীর দাবির মুখে বেশ কয়েকবার ঝিকরগাছা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন মীমাংসার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাকারী সাইফুজ্জামান ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক মামলা তুলে নেয়ার জন্য আপসনামা করে দেন। কিন্তু পরে সে সিন্ধান্ত নিয়ে নানা রকম তালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি দ্রুত সুরাহায় প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে সাইফুজ্জামানের মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দিয়েছেন। পরে আর ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়