লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** চিকিৎসা অপ্রতুল, ব্যয় বেশি ** ৭০ ভাগ মৃত্যুই অসংক্রামক রোগে ** এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ **
সেবিকা দেবনাথ : দেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সেই সঙ্গে অসংক্রামক (এনসিডি) রোগসহ বিভিন্ন রোগও বাড়ছে। এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন রোগও। অসংক্রামক রোগের তালিকায় রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি বিকল, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা। এছাড়া অসংক্রামক রোগের তালিকায় ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ), বিষণ্নতা, মানসিক সমস্যা ও আত্মহত্যার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। এদিকে অসংক্রামক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে এবং ব্যক্তি পর্যায়েও স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়ছে। এসব রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকে নিঃস্বও হচ্ছেন বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। এমনিতেই সংক্রামক রোগের চেয়ে অসংক্রামক রোগেই মৃত্যুর হার বেশি। করোনা মহামারিকালে সে হারটা যেন আরো বেড়ে গেছে। করোনার নিচে যেন চাপা পড়ে গেছে অসংক্রামক রোগে আক্রান্তদের হাহাকার। এরকম এক পরিস্থিতিতে দেশে অসংক্রামক রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে তাদের চিকিৎসা ব্যয়। আর এতে করে দীর্ঘ হচ্ছে এ ধরনের রোগে মৃতের তালিকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর যত ভাগ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত, তার চেয়েও বেশি অংশ এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। ঝুঁকির মধ্যে থাকা এই জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি নির্ণয় এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য কম খরচে বাস্তবসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগ করাই হচ্ছে অসংক্রামক রোগের ব্যাপকতা মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। তাই গ্রাম ও শহরের শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবকসহ সব বয়সের নারী ও পুরুষের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাস তৈরিসহ স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে বায়ুদূষণ, পরিবেশদূষণ, পানিতে আর্সেনিক, খাদ্যে ভেজাল, খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বেশি মাত্রায় কেমিক্যালের প্রয়োগসহ আরো যে বিষয়গুলো অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় তা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
কোন রোগে কত রোগী : বিভিন্ন গবেষণার তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে অসংক্রামক রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ডায়াবেটিস এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। ডায়াবেটিস এমনই একটি রোগ যা কখনো সারে না। কিন্তু এ রোগকে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, দেশের

প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ

ও ডায়াবেটিস আছে এমন ৩ জনের ১ জন কিডনি রোগে ভুগছেন। এই খবর তারা জানে না। দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনই জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অর্ধেকের বেশি জানেন না উচ্চ রক্তচাপ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ১০০ জনের মধ্যে ৭৭ জন ওষুধ খেলেও তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। একই অবস্থা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও।
সরকারের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) একটি জরিপের তথ্য বলছে, দেশে শতকরা ১৩ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের ৬২ শতাংশই রোগটি নিয়ে সচেতন নয়। আর মাত্র ৩৫ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে আবার উচ্চশিক্ষিত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি। আর সরকারি তথ্য বলছে, দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস, ২০ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ ও ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে ভোগে। প্রতি বছর এ তালিকায় ৫০ হাজার যোগ হয়।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সার্ভের (বিডিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। দেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৯৭ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। অপর এক গবেষণার তথ্য বলছে, দেশে কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে ভুগছেন।
২০১১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ প্রবীণ, যা ২০৪১ সালে দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর প্রবীণদের ওপর পরিচালিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সি প্রতি ৫ জনের ৪ জনই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া, বিষণ্নতায় ভুগছেন। প্রবীণদের প্রতি ২ জনের মধ্যে ১ জন যে কোনো একটি অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত। এছাড়া প্রবীণ পুরুষদের তুলনায় প্রবীণ নারীদের অসংক্রামক রোগে আক্রান্তের হার অনেক বেশি। পুরুষের আক্রান্তের হার ৩৭ শতাংশ ও নারীর আক্রান্তের হার ৫৪ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের মানুষের মৃত্যুর কারণগুলোর অন্যতম একটি ক্যান্সার। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩ লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি হাসপাতালভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি নিয়ে ১ হাজার ৬৫৬ জনের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়, এক বছরে দেশে নতুন করে ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮১ জন। আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশই নারী এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২৫ দশমিক ২ শতাংশ শিশু। আবার পুরুষের তুলনায় নারীদের কম বয়সে ক্যান্সার আক্রান্তের হারও বেশি।
স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়ছে : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসংক্রামক রোগে আক্রান্তদের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ও দিন দিন বাড়ছে, যা তাদের পকেট থেকেই ব্যয় করতে হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বলছে, দেশে ডায়াবেটিস রোগীদের শুধু ইনসুলিনের জন্য বছরে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অন্য বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। আইসিডিডিআরবির জরিপের তথ্য বলছে, অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত প্রবীণদের ৩০ শতাংশ এখনো নিজেরা আয় করেন, যা থেকে তারা চিকিৎসার খরচ চালান। যারা নিজেরা আয় করেন না তাদের মধ্যে প্রতি ৫ জনের ৪ জন চিকিৎসা খরচের জন্য সন্তানদের আয় কিংবা নিজস্ব সঞ্চয়ের ওপর নির্ভরশীল।
মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে : সংক্রামক রোগের চেয়ে অসংক্রামক রোগে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও সংক্রামক রোগের প্রতি গুরুত্ব বেশি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে যত মৃত্যু হয় তার ১০ জনে মধ্যে ৭ জনই অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছেন। অর্থাৎ দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশই হয় অসংক্রামক রোগের কারণে। এদিকে গুরুত্ব না দিলে ২০৪০ সালে এই হার ৭০ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উঠে যেতে পারে। এসব রোগে ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সিদেরই বেশি মৃত্যু হয়।
সম্প্রতি এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যত মৃত্যু হয়েছে কোনো কোনো অসংক্রামক রোগে তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। শুধু তামাকজনিত কারণে দেশে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হচ্ছে ৩৫০ জনের। ক্যান্সার, য²া, হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগে যে মৃত্যুর হার, প্রত্যেকটির মৃত্যুর হার করোনার মৃত্যুর থেকে ৫ গুণ বেশি। কিন্তু কেন যেন আমরা শুধু সংক্রমক রোগের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
সম্প্রতি অসংক্রামক রোগবিষয়ক এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অসংক্রামক রোগ দায়ী। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সরকার খাতভিক্তিক কার্যক্রম নিয়েছে। দেশের ৮ বিভাগে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। দেশের সব জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ও আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালে এনসিডি কর্নার করা হয়েছে।
গত দুই বছর ধরে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তি হওয়ায় অসংক্রামক রোগীরা সেবা বঞ্চিত হয়েছেন এবং দেরিতে সেবা নেয়ায় মৃত্যুও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রতিরোধে উদ্যোগ : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য নেই। যা বরাদ্দ দেয়া হয় সেটিও সব সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি নেই। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, অসংক্রামক ব্যাধির কারণে বাংলাদেশসহ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পর্যায়ে এই রোগগুলোর চিকিৎসা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি। এসডিজি অর্জন করতে হলে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অসংক্রামক রোগজনিত অকাল মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধের দিকে আরো বেশি নজর দিতে হবে।
ইতোমধ্যে দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে অসংক্রামক রোগের জন্য আলাদা চিকিৎসাকক্ষ (এনসিডি কর্নার) ও চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য কিছু কিছু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের সঙ্গে একজন নার্সও সংযুক্ত করা হয়েছে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এমনকি রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও বর্তমানে বিনামূল্যে সরকারিভাবে দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন জানান, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কার্যক্রম এবং এই সেবাকে আরো কিভাবে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে।
ব্যক্তি সচেতনতার ঘাটতি : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ রোগ এবং রোগের চিকিৎসায় যতটা গুরুত্ব দেয় ততটা গুরুত্ব রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দেয় না। ফলে অসংক্রামক রোগের বোঝা বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ও ইনিশিয়েটিভ ফর নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেসের প্রধান ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও অনেকে চিকিৎসকের কাছে যান না। এ কারণে দেশে অসংক্রামক রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমাদের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত সবার মধ্যেই জ্ঞানের অভাব রয়েছে। গবেষণাতেও আমরা দেখেছি মানুষের মাঝে এই রোগগুলো নিয়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ না করলে চিকিৎসকের কাছে যায় না। এর কারণেই অসংক্রামক ব্যাধি মানুষের ওপর ভর করছে। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর অন্তত একবার স্ক্রিনিং করা জরুরি। স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে শরীরের ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করতে পারলে ভালো। শরীরের মেদ, লবণ ও চিনি বেশি পরিমাণে খাওয়া, বসে বসে কাজ করা, মানসিক চাপে ভোগেন, খেলাধুলা করেন না, দৈনিক নিয়মিত ৩০ মিনিটের কম হাঁটাচলা করে এমন ব্যক্তিদের প্রতি বছর একবার করে স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়