নাসির-তামিমার বিয়েকাণ্ডে মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত : যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, আইসোলেশনের সময়সীমা ৫ দিনের বেশি চান বিশেষজ্ঞরা

পরের সংবাদ

বাউফলে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২.২২ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণকাজের তদারকিতে গাফিলতির সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছামতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা বাজার থেকে কুয়েত মসজিদ পর্যন্ত ২.২২ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় পটুয়াখালীর মেসার্স মহিউদ্দিন আজাদ জেবি নামে একাট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করে এলজিইডির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দুই দফা সময় বাড়িয়ে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠিানটি। সরজমিন দেখা যায়, সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। প্রতি বর্গমিটারে ১.২৫ লিটার বিটুমিন ও প্রাইম কোট দেয়ার কথা থাকলেও নামমাত্র প্রলেপ দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে। কার্পেটিং ও ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের পাথর ও বিটুমিন। বিটুমিনের পরিমাণও দেয়া হচ্ছে কম। কার্পেটিং শেষে যেনতেনভাবে সিলকোট করা হচ্ছে। ফলে দুয়েক দিন যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানের সিলকোট উঠে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটির নির্মাণকাজে নির্ধারিত বালুর পরিবর্তে পুকুর ও ডোবা থেকে অবৈধভাবে বালু-কাদা তুলে রাস্তা ভরাট করা হয়েছে। সড়কটির এজিন, সাববেস ও ম্যাকাডামে ব্যবহার করা হয়েছে নির্মাণের ইট ও খোয়া। আ. গনি, আনিসুর রহমানসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সড়কটির নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম করায় ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো ঠিকাদার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এলাকাবাসী আরো জানান, সড়কের মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ না করায় এলাকার কয়েকশ একর কৃষি জমি অকাজো হয়ে পড়েছে।
একটি সূত্র জানায়, ঠিকাদার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ও সড়ক নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এমন অনিয়ম করছেন। তদারকি কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. এনামুল ইসলাম অভিন্ন সূরে বলেন, সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণকাজ চলছে। কোনো অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম সাহাবুদ্দিন বলেন, অনিয়ম হলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়