প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়ক : ১১ কিমির খানাখন্দে দুর্ভোগে দুই উপজেলার মানুষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসাইন আহমদ, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে : শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার বাংলাবাজার পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। সড়কটি যান ও জনচলাচলের অযোগ্য হওয়ায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। টানা কয়েক বছর সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের মধ্যভাগে লোহার রড বের হয়ে থাকায় যে কোনো সময় প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সড়কটি সংস্করের জন্য আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ভাটিপাড়া, রফিনগর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নসহ প্রায় হাজার হাজার লোকজন প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গাড়ির অর্ধেকাংশ কাদা মাটিতে দেবে যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে মিনি ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি, আটোরিকশা, মোটারসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক যানবাহন। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক লোকজনের যাতায়াত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সরজমিন ১৭ জানুয়ারি দেখা যায, পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়কটি ভেঙে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে একেকটি একটি মিনি পুকুরে রূপ নিয়েছে। ছোট-বড় যানবাহন প্রতিদিন গর্তের মধ্যে আটকা পড়ছে। কখনো যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।
শিমুলবাঁক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু বলেন, পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ভাঙা রাস্তার ফলে এলাবাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। আমরা এলাকাবাসীর ব্যানারে অনেকবার সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি কিন্তু এত আশ্বাসের পরও আমাদের এই অনিমজ্জিত সড়কের দাবিটি অধরাই রয়ে গেছে। যদি রাস্তাটি সংস্কার এবং অনিমজ্জিত করা হয় তবে এই এলাকার মানুষের জীবনের ব্যাপক উন্নতি হবে। ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফ চৌধুরী বলেন, সরকার হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন করছে অথচ পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এই রাস্তা দিয়ে জেলার ৩টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষ প্রতিনিয়িত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অবিলম্বে পাথারিয়া-বাংলাবাজার অনিমজ্জিত রাস্তা করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। মোটারসাইকেল চালক সহিবুর রহমান বলেন, স্থানে স্থানে ভেঙে ও পাকা উঠে বড় বড় গর্তে কাদা সৃষ্টি হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। রাস্তাটি মেরামত করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে দিরাই উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাস্তাটি মেরামত করা হবে বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়