প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

পাকিস্তানে দুই ডোজ টিকা ছাড়া মসজিদে ঢুকতে মানা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তানে আরোপ করা করোনা ভাইরাস নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী যারা পূর্ণ কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নেননি তারা নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেন না। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ এ ধরনের বেশ কয়েকটি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
গত শুক্রবার দেশটিতে ৭ হাজার ৬৭৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে। এটি করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর একদিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার রেকর্ড। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রতিদিন গড়ে ৬,২০৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার যেসব জেলায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশের উপরে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ ঘরের ভেতরের সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি স্কুল ও যেসব খেলাধুলায় শারীরিক সংস্পর্শ লাগে সেগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
দেশটিতে সার্বিক শনাক্তের হার প্রায় ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে দেশটির প্রধান শহরগুলোতে এ হার অনেক বেশি। দেড় কোটি বাসিন্দার করাচি শহরে শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ। এখানে পরীক্ষায় প্রতি ২ জনের মধ্যে ১ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। রাজধানী ইসলামাবাদে শনাক্তের হার প্রায় ২০ শতাংশ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ২২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৩৬ শতাংশ বা ৭ কোটি ৮০ লাখ লোক করোনা ভাইরাস টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন।
অনেকের মধ্যে দ্বিধা থাকায় সরকার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কঠোর সব পদক্ষেপ নিয়েছে। মোবাইল ফোনের সেবা বন্ধ রাখা, বেতন আটকে রাখা ও বিমান ভ্রমণ করতে না দেয়া- এগুলোর অন্যতম। মসজিদে প্রবেশের জন্য টিকার দুই ডোজ নেয়া বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি মাস্ক পরা ও নামাজ আদায়ের সময় ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। গত বছর দেশটির সরকার একই ধরনের বিধিনিষেধ জারি করার চেষ্টা করলে বিরোধিতাকারীরা বেশ কয়েকটি ঘটনায় সহিংস হয়ে ওঠে। এপ্রিলে করাচিতে বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মসজিদের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর হামলা চালান মুসল্লিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়