নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

পাহাড় কেটে বালু বিক্রি করছেন চেয়ারম্যান! : সাতকানিয়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১:১০ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সাতকানিয়ায় এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোসাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাহাড়া কাটার অভিযোগ পেয়ে সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ইউনিয়নের সারাশিয়া মৌজার লম্বাশিয়া এলাকার ছোট ছড়া ভরাট করে সড়ক তৈরি করে এস্কেভেটর দিয়ে দেদারছে কাটছে সরকারি পাহাড়। একসঙ্গে পাঁচটি ডাম্পারযোগে (মিনি ট্রাক) পাহাড় কাটা বালু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রæতির প্রকল্পের কাজেও এ বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, মোসাদ হোসেন চৌধুরী এ এলাকার দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এবারো তিনি ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তারা আরো জানান, নির্বাচনী ব্যয় মেটাতে চেয়ারম্যান পাহাড় কেটে বালু বিক্রি করছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পাহাড় কেটে বালু বিক্রি, খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা এবং সরকারি বাগান উজাড় করে গাছ কাটা- এসব অবৈধ কাজ চালিয়ে আসছেন। এসব কাজ তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। তাছাড়া এসব অবৈধ কাজ করে তিনি কোটি টাকা আয় করেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) করোনা আক্রান্ত। যার কারণে তারা এলাকার অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারবেন না। বিষয়টি মাথায় রেখে চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের বাড়তি ব্যয় মেটানোর জন্য পাহাড় কাটা শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে ছদাহা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোসাদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি পাহাড় কাটছি না, আমার নিজস্ব খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তার কাজে ব্যবহার করছি।
যোগাযোগ করা হলে পদুয়া রেঞ্জের বড়দুয়ারা বিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি পাহাড় কর্তন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়