সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই নজরদারি : চরফ্যাশনে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর ফের চালু অবৈধ ৬ ইটভাটা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ আর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : গত বছর চরফ্যাশন উপজেলার ৬টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেয়ার পরেও অসাধু ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় আবারো তা চালু করেছে প্রভাবশালী মহল। শুধু ড্রামসিটের চিমনি দাঁড় করিয়ে হাজার হাজার টন বনের কাঠ উজাড় করে ফসলি জমির মাটি ও ভাটা সংলগ্ন সরকারি খালের মাটি দিয়ে এ ভাটাগুলোতে ইট পোড়াচ্ছে অবৈধ ব্যবসায়ীরা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ পরিবেশেই গড়ে উঠেছে প্রায় ১০টি অবৈধ ইটভাটা। এসব অবৈধ ভাটার নেই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন বা ছাড়পত্র। প্রশাসনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইট পোড়ানো হচ্ছে এসব ভাটাগুলোতে। চরফ্যাশন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিণ আইচার মানিকা, হাজারীগঞ্জ, চরকলমী, আবদুল্লাহপুর, রসুলপুর, নীলকোমল ও ঘোষেরহাটসহ মাদ্রাজ ইউনিয়নে রয়েছে এ ভাটাগুলো। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভাটাগুলোতে রয়েছে গাছ কাটার স’মিল। এ স’মিলে হাজার হাজার মণ লাকড়ি ও গাছের গুঁড়ি কেটে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চলছে। দিন-রাত কাঁচা ইট তৈরি করে সারি সারি ইট সাজিয়ে রোদে শুকানো হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ড্রামসিটের তৈরি চিমনি ব্যবহার করে লাকড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। যার ফলে এলাকার গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ আবাল-বৃদ্ধরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। অবৈধ ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে ভাটা সংলগ্ন জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও স্থানীয় কৃষকরা জানান। কৃষক সালাম হাওলাদার বলেন, অবৈধ ভাটাগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এর আগে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ব্রিকস গুঁড়িয়ে দিলেও পুনরায় ওই ব্রিকসগুলো অসাধু কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে চালু করেছে দাবি করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দক্ষিণ আইচা মানিকা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত অনেক ইটভাটার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ও ছাড়পত্র না থাকলেও অদৃশ্য অনুমোদন ও মাসিক চাঁদার ছাড়পত্রেই চলছে ভাটাগুলো। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ভেঙে দেয়ার পরেও পুনরায় এ অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ করে ইট পোড়ানো হলেও উপজেলা প্রশাসন ও ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
ভেঙে ফেলা ভাটাগুলো পুনরায় নির্মাণের বিষয়ে কয়েকটি ভাটার মালিক জানান, তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। এরপরেও প্রশাসনের অভিযানে তাদের ভাটাগুলো ভেঙে ফেলা হয়। যার ফলে তারা লাখ লাখ টাকার লোকসানে পড়েন। ছাড়পত্রের জন্য পরিবেশবান্ধব ঝিকঝাক ভাটা নির্মাণে প্রচুর ইটের প্রয়োজন। আর তাই কিছু ইট পুড়িয়ে পরিবেশবান্ধব চিমনি তৈরি করতে হবে বলে জানান তারা। ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ড্রামসিট চিমনি ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা সম্প্রতি শানিমা-২, মাইশা-২ ও ফরাজী ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এবং ভেঙে ফেলা যেসব ব্রিকসগুলো পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই। তবে ঠিক কতটি অবৈধ ভাটা রয়েছে জানতে চাইলে তার সদুত্তর দেননি এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়