কাগজ প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম এবং নতুন বছরের (২০২২ সালের) প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার। ওই দিন বিকাল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে¡ এ অধিবেশন বসবে। বছরের প্রথম ও শীতকালীন এ অধিবেশনে রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন।
আগামীকাল অধিবেশন শুরুর আগে বিকাল ৩টা নাগাদ কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক বসবে। সেখানে স্পিকারের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা, বিরোধীদলের উপনেতা জি এম কাদের, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সময়কাল ও কার্যবিবরণী ঠিক করা হবে।
তবে চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অন্য বেশ কয়েকটি অধিবেশনের মতো এবারের অধিবেশনও চলবে ব্যাপক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার এমপি-মন্ত্রী, সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাংবাদিকদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। শুধু করোনা নেগেটিভ সনদধারীরাই অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন। আর প্রথম দিনের ১৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ভাষণ কভার করার জন্য সাংবাদিকরা ওই দিনের জন্য সংসদে প্রবেশাধিকার পাবেন। অন্য দিনগুলোতে তাদের সংসদ টিভি দেখে অধিবেশনে কভার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে চলতি অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর তিন চার দিন আলোচনার নিয়ম রয়েছে।
সংসদের ষষ্টদশ অধিবেশনে ১০-১২টি বিল পাস ও উত্থাপনের জন্য আইন শাখায় জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। আরো কয়েকটি বিল আসতে পারে বলেও জানান তারা। সাধারণত সংসদে শীতকালীন অধিবেশন দীর্ঘ হয়ে থাকে। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণকালে অধিবেশনের মেয়াদকাল সংক্ষিপ্ত হতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।
অধিবেশনে কোরাম সংকট কাটাতে রোস্টার ভিত্তিতে প্রতিদিন ১০০-১২০ জন এমপিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। লালগালিচায় ঢাকা হয়েছে সংসদের প্রবেশদার থেকে রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট কক্ষ এবং সেখান থেকে সংসদের মূল গেটের প্রবেশ পথ পর্যন্ত। ফুলের টপ দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে সংসদের মধ্যকার যাওয়াতের পথ।
করোনা প্রতিরোধে অধিবেশনে প্রবেশদারে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক করোনা সুরক্ষা মেশিন। এর মধ্য দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া কোভিড-১৯ টিকা সনদ ও মাক্স পরে আসার জন্য সবাইকে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানান হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হয়। ১৫তম অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল ৯টি। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের এক অধিবেশন থেকে আরেক অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেয়ার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।