রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ল সহ¯্রাধিক ঘর

আগের সংবাদ

তিন জট থেকে মুক্তির প্রত্যাশা > নাসিক নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মতামত : জলজট, যানজট ও আবর্জনা জট নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা

পরের সংবাদ

লালমনিরহাটের সাবিত্রী হত্যা নিয়ে নানা রহস্য

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সাবিত্রী রানী হত্যাকাণ্ড ঘিরে নানা রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। স্বামী হিমাংশু রায় ও বড় মেয়ে প্রিয়াংকাসহ এলাকাবাসীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে এ ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যুতে চাপা পড়তে বসেছে সাবিত্রী হত্যার রহস্য। স্থানীয়দের অনেকেই সন্দেহ করছেন, সাবিত্রী হত্যায় হিমাংশু রায়সহ পরিবারের অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারেন। হিমাংশুর বাবা একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন পুলিশ টাকা চেয়ে না পেয়ে আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আবার বলছেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। ছেলের মৃত্যু নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ছেলে আত্মহত্যা করেছে তা মেনে নিয়েই সৎকার করেছি।
জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ওই এলাকায় বিশ্বেস্বর রায়ের ছেলে হিমাংশু রায়ের স্ত্রী সাবিত্রী রানী খুন হন। সকালে হিমাংশু রায় প্রতিবেশীদের ডেকে বলেন, বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা ৭২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী বাধা দিলে তাকে হত্যা করে চলে যায়। সকালে এসে আমি স্ত্রীর লাশ পড়ে থাকতে দেখি। পরের দিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাবিত্রীর লাশ উদ্ধার করে এবং হিমাংশু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন?্য থানায় নিয়ে যায়। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখলে ওই দিনই সেখানে আত্মহত্যা করেন হিমাংশু। জিজ্ঞাসাবাদে হিমাংশু পুলিশকে বলেছেন, তিনি এক অনুষ্ঠান থেকে ভোর রাতে বাড়ি ফিরে বড় মেয়ে প্রিয়াংকার কাছে জানতে পারেন, তার স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঘরের পাশে তুলশী গাছের নিচে লাশ দেখতে পান। তবে প্রিয়াংকা জানান ভিন্ন কথা। তিনি কখনো বলেন, বাবা রাত ১২টার দিকে বাড়িতে এসেছেন তখন মাসহ আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। আবার কখনো বলেন, বাবা আসার আগে কালো কোর্ট পরা একজন লোক এসে মাকে গলাটিপে হত্যা করে। তাহলে সেই লাশ ঘরের বাইরে কীভাবে গেল- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াংকা বলেন, তখন আমি ঘুমে ছিলাম। এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, হিমাংশুর বাড়িতে মধ্য রাতে ডাকাতির কোনো শব্দ বা কোনো লক্ষণ তারা খুঁজে পাননি। তারা বলেন, সকালে হিমাংশুর মুখে শুনি রাতে ডাকাতরা তার স্ত্রীকে হত্যা করে টাকা নিয়ে গেছে।
তবে সাবিত্রীর ভাই খগেন চন্দ্র বলেন, আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। ভাগ্নী দুটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। আমরা নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নিয়েছি। তবে আমার বোনের হত্যার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, সাবিত্রী হত্যা ও পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু রায়ের আত্মহত্যা- দুটি বিষয় পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়