গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা : কালকিনি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, মাদারীপুর : স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে মাদারীপুরের কালকিনিতে এক সন্তানের জননী খাদিজা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই ওই গৃবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিডি খান এলাকার নতুন চরদৌলত খান গ্রামের অসহায় কৃষক কামাল বেপারীর মেয়ে খাদিজা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের মোনাব্বর খানের ছেলে মো. হাসান খানের প্রায় ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বামীকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ প্রদান করে ওই গৃহবধূর পরিবার। বিয়ের পরে তাদের সংসারে ৩ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এদিকে ওই গৃহবধূকে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় পুনরায় যৌতুকের জন্য তার বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানুষিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ নির্যাতন সইতে না পেরে গত কয়েকদিন পূর্বে ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে আসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর স্বামী হাসান খান তাকে মোবাইলে তার দাবিকৃত যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নিজের জীবন দিয়ে অবশেষে যৌতুকের বলি হয় গৃহবধূ খাদিজা বেগম। তবে ঘটনার পর থেকেই নিহত গৃহবধূর স্বামী হাসান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে কালকিনি থানার এসআই রাজিব চন্দ্র সাহা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত গৃহবধূর বাবা কামাল বেপারী বলেন, বিয়ের সময় আমার মেয়ের স্বামীকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা দিয়েছি। সে এখন পুনরায় টাকা দাবি করছে। আমি গরিব মানুষ, টাকা কোথায় থেকে দেব। এ দাবিকৃত টাকা নিয়ে ফোনে আমার মেয়ে ও জামাই ঝগড়া করে। এর জের ধরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়েকে টাকার জন্য তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানুষিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। আমি জামাইসহ তার পরিবারের নামে মামলা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়