চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

বিজিএমইএ সভাপতি : মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : র‌্যাব ও র‌্যাবের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তবে এ নিষেধাজ্ঞা দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি। ফারুক হাসান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় বাজারগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি। গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে সংলাপটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সহসভাপতি ও বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সব রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এর আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কিছু ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেছেন। ফারুক হাসান বলেন, বর্তমানে তাদের কৌশল হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেয়া। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৬ সালের পর যে বাড়তি তিন বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ দেবে, আলোচনার মাধ্যমে তা বাড়ানো। বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এ সুবিধা চায়।
যুক্তরাষ্টের বাজারে জিএসপি-বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহত্তম এই বাজারে তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধা পেত না। এখনোও পাচ্ছে না।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তিন দশক আগে বাংলাদেশ যে ধরনের পণ্য তৈরি করত এখন তার চেয়ে ভিন্ন ও উন্নত পণ্য তৈরি করছে। ফলে পুরনো বন্ড লাইসেন্সে অনেক পণ্যেরই উল্লেখ নেই।
করোনার প্রভাব মোকাবিলার প্রণোদনার ঋণ পরিশোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক কারখানা ইতোমধ্যে ঋণের কিস্তি দেয়া শুরু করেছে। আর কিছু প্রতিষ্ঠান পারছে না। কারণ ওই সব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতারা মূল্য পরিশোধ করেনি। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় সময় দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। সাম্প্রতিক সময়ের রপ্তানি বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমত আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়া। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। সাব-কনট্রাক্টের বিষয়ে বিজিএমইএ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, পোশাক কারখানা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে জেলা পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। পোশাকের ন্যূনতম দরের বিষয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথভাবে একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কাজটি হবে, তবে সময় লাগবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়