চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

দুর্ভোগে বালিয়াকান্দির ব্যবসায়ীরা : উপজেলা পরিষদের লেক যেন ময়লার ভাগাড়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : বালিয়াকান্দি-পাংশা সড়কের উপজেলা পরিষদ গেটের কাছে লেকে ও সড়কের পাশে প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে ময়লা-আবর্জনা স্তূপে পরিণত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ওপর চলে আসছে। উপজেলা পরিষদ গেট এলাকাটি ব্যাটারীচালিত অটোবাইক স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কিছুদিন ধরে লেকের পাড়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ ময়লা-আবর্জনার পচা উৎকট দুর্গন্ধে পথচারী, অটোবাইক চালক, যাত্রী, ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। প্রশাসন একাধিকবার ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ২-১ দিন বন্ধ রাখাসহ রাতের অন্ধকারে ফেলে চলে যায়। বালিয়াকান্দি বাজারের ময়লা-আবর্জনা চন্দনা নদীতে ফেলা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ গেটের লেকে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে হওয়ার কারণে বাজারের অনেক ব্যবসায়ী সহজেই তার ময়লা ফেলে দিয়ে যান। প্রশাসনের কঠোর হুঁশিয়ারিতে বেশ কিছুদিন ময়লা ফেলা বন্ধ থাকে। সম্প্রতি বাজারে ময়লা ফেলার পাত্র প্রদান করায় ব্যবসায়ীরা ওই পাত্রে ময়লা ফেলে রাখে। বাজারের পরিছন্নতাকর্মীরা ওই ময়লা ভ্যান গাড়িতে করে এনে নিয়মিত লেকে ফেলতে শুরু করেছে। ময়লা ফেলার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। বরং ময়লা ফেলার কারণে লেকের বিপরীত পার্শ্বের ব্যবসায়ী ও অটোবাইক চালক, যাত্রী ও পথচারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। দুর্গন্ধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এখানে বাজারের ময়লা-আবর্জনা লেকে যত্রতত্রভাবে ফেলানো হচ্ছে। তাদের নিষেধ করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এখন রাতের অন্ধকারে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। এতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে ব্যবসা করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকজন অটোচালক বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকার কারণে উপজেলা পরিষদ গেটের কাছে কিছু জায়গা থাকায় আমরা এখান থেকে যাত্রী পরিবহন করে আসছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারের ময়লা ফেলে এখন গাড়ি রাখাতো দূরের কথা, দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে চলাচল করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ময়লা ফেলতে আসা বাজারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলেন, আমাদের বাজারের ইজারাদার ফেলতে বলেছে, তাই ময়লা ফেলছি। নিষেধ করলে আর ফেলব না। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাসিবুল হাসান বলেন, ওই লেকের পাড়ে কোনো ময়লা ফেলার অনুমতি নেই। আমি বাজার ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়