মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

হুমকির মুখে আবাদ ও রাস্তাঘাট : নান্দাইলে কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : নান্দাইল উপজেলায় কৃষি জমির উপরের অংশ (উর্বর মাটি) কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভাটা মালিকরা। উর্বর মাটি ইটভাটায় চলে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন কমছে। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মাটির জৈব শক্তি কমে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীনসহ খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে।
উপরি ভাগের জৈবের পাশাপাশি মাটি পরিবহনকারী ট্রলি ও ট্রাকগুলো যেনতেনভাবে মাটি ভর্তি করে মহাসড়ক ও ইউপির গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলোতে চলাচল করছে। পাকা রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে। এতে বর্ষা এলেই পাকা রাস্তার গর্তে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। ভারী যানবাহন গ্রামীণ রাস্তাগুলোকে চলাচলে কেউ বাধা না দেয়ায় হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। সরকারি আইন অনুযায়ী কৃষি জমির মাটি ভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই আইন লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মশুল্লী, সিংরইল, গাংগাইল, আচারগাঁও ও নান্দাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমির মাটির ৩ ফুট উপরি অংশ ইটভাটায় চলে যাচ্ছে। ভেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। ইটভাটার দালালরা মূলত কৃষকদের বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে জমির মাটি স্বল্প মূল্যে খরিদ করে তা ইটভাটায় বিক্রি করছে ভাটা মালিকদের কাছে। এতে লাভবান হচ্ছে ইটভাটার মালিকসহ একটি দালাল চক্র। তবে লোভে পড়ে কৃষকদেরও ক্ষতিসহ নষ্ট হচ্ছে ভূমির পরিবেশ ও রাস্তাঘাট। তাই বছর প্রতি অবৈধভাবে ইটভাটার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। উপজেলায় ২২টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে ৪-৫টি ছাড়া বাকিগুলো অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে। ইটভাটার মাটি বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ট্রলির ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, এই মাটি কোন ভাটায় যাচ্ছে তা বলতে রাজি নয়। তবে মাটি বা যে কোনো ধরনের জিনিস টাকার বিনিময়ে বহন করাই তার পেশা বলে কেটে পড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিছুজ্জমান বলেন, ‘উর্বর মাটি তৈরি হতে অনেক বছর সময় লাগে। একটি উদ্ভিদের ১৬ প্রকার খাদ্যের মধ্যে মাটিতে ১৩ প্রকার খাদ্য উপাদান রয়েছে। ফসলি জমির উপরিভাগ ৪-৬ ইঞ্চি মাটি বেশি উর্বর। তবে এভাবে উর্বর মাটি ভাটায় চলে গেলে ভবিষ্যতে ২০-৩০ শতাংশ হারে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে।’ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জরিমানা আদায় করার পরেও তা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে তিনি সরজমিন বিষয়টি দেখবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়