মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে লোকসানের মুখে আগাম আলুচাষিরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : গম ও আমন ধানের লোকসানের পর এবার আগাম জাতের আলু চাষ করেও বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলার চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে কিছুটা দাম মিললেও ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দাম কমে যায়। এতে আলু চাষ করে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। বর্তমানে বাজারে পুরনো আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় নতুন আলুতে চাহিদা কম দেখাচ্ছেন ক্রেতারা। আর এ কারণেই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি এলাকার চাষিদের। আগাম জাতের ধান কাটার অল্প সময় ব্যবধানেই আগাম জাতের আলু আবাদ করা হয় সেসব জমিতে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ২৭ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদরে ১৪ হাজার ৫৩ হেক্টর, রাণীশংকৈলে ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর, পীরগঞ্জ ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর, বালিয়াডাঙ্গি ২ হাজার ৭১১ হেক্টর ও হরিপুরে ২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিতে অনেক জমির আলু নষ্ট হলেও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি করছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর।
সদর উপজেলার আলুচাষি হেলাল উদ্দিন জানান, দুই একর জমিতে আলু চাষ করতে ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের এক একর জমির আলু বিক্রি করেছেন ৭০ হাজার টাকায়। দিন দিন আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত পুঁজিটুকুও উঠবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার পাঁচ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। প্রতি একরে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করেছিলাম একর প্রতি ২ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারব। এখন বাজারে আলু ১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এই অবস্থায় একর প্রতি দাম লাগবে ৫০-৬০ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা যা খরচ করেছি তার তিন ভাগের এক ভাগও আসবে না।
পীরগঞ্জ উপজেলার আলুচাষি মোতালেব জানান, বাজারে এখনো পুরনো আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। পুরনো আলুর দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা পুরনো আলুর দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। সে কারণে নতুন আলুর চাহিদা কমেছে বাজারগুলোতে। এজন্য আলু চাষিদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, এই জেলার জন্য আলু একটি লাভজনক ফসল। যার ফলে অধিকাংশ চাষিরা এই ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমরা চাইলেও এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো ফসলের কথা বলতে পারি না। এটা যেহেতু কাঁচামাল তাই এর দাম ওঠানামা করবে। সামনে হয়তো কয়েকদিন পর এর দাম বাড়তে পারে। ভালো ফলন হয়েছে আলুর। আমরা আশাবাদী আলুর দাম কিছুটা বাড়লেই চাষিদের লোকসানের মুখ দেখতে হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়