মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

ঈশ্বরগঞ্জের ১১ ইউনিয়ন : আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : সপ্তম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পরপরই ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। মনোনয়নকে সামনে রেখে একে অন্যের দোষ-ত্রæটি খোঁজে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। নৌকা প্রতীক পেতে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন অনেকে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন হাসান মাহমুদ রানা, মাহবুব আলম, আনোয়ার হাসান শামীম, মহিউদ্দিন আজাদ মানিক, ফরিদ খান ও মোশারফ হোসেন মাস্টার। তাদের ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিগত নির্বাচনে তারুন্দিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন মাহবুব আলম। নির্বাচনে তিনি আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। এছাড়া গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকার বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। অপরদিকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী মহিউদ্দিন আজাদ মানিক স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তান হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি ঢাকায় একটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করেন। বিগত সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার কট্টর বিরোধিতাকারী মোশারফ হোসেন মাস্টারও চাইছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। তাকে নিয়েও রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষোভ।
এদিকে সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মোর্শেদের ছেলে সাবেক ছাত্রনেতা হাসান মাহমুদ রানা চাইছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। তবে তাকে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খুবই আশাবাদী। পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় রয়েছে তার বেশ সুনাম। এছাড়া এলাকায় তার বাবারও একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজন এই ইউনিয়নে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন দলীয় মনোনয়ন যেন স্বচ্ছ ব্যক্তিকে দেয়া হয়। কেননা কোনো বিতর্কিত লোক নৌকার মনোনয়ন পেলে এবারো ভরাডুবি হবে।
দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত না হওয়ায় এলাকায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। স্থানীয়দের দাবি আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। এবার দেখেশুনে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তারুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব বলেন, নির্বাচন এলে অনেকে নৌকার মনোনয়ন চায় আর চাওয়াটাই স্বাভাবিক। একটা বড় দলের অনেকের প্রত্যাশা বেশি। গত নির্বাচনে মাহবুব আলম নৌকার মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনে অনেকেই বিরোধিতা করে যার ফলে নৌকার ভরাডুবি হয়।
এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। বিরোধিতাকারীদের মধ্যে মহিউদ্দিন মানিক আজাদ এবং মোশারফ হোসেন মাস্টার ছাড়াও অন্যরা রয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, দল দেখেশুনে যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেয়। সপ্তম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন অনেকে চাচ্ছে। তবে আমরা দেখেশুনে যোগ্য ব্যক্তির নামই মনোনয়ন বোর্ডে পাঠাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়