কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তবে সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ চেষ্টা শুধু তার একার হলে চলবে না। সংকট মোকাবিলায় দেশের জনগণকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বিজয়ের ৫০ বছরে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিজ্ঞা করতে হবে জনগণকে।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজশাহীমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজশাহী প্রেস ক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। রাজশাহী প্রেস ক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলার কথার কলম সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি আবু সালে মো. ফাত্তাহ, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহসভাপতি সালাউদ্দীন মিন্টু, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান।
এ সময় জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. ইউসুফ, সদস্য রাকিবুল হাসান শুভ, আরিফুল ইসলাম, আইয়ুব আলী তালুকদারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন হলেও তখনো রাজশাহী শত্রæমুক্ত হয়নি। ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীকে শত্রæমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধাকালীন ৭ নম্বর সেক্টরের লালগোলা সাব-সেক্টর ৪-এর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, বীর বিক্রম রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা হাইস্কুল মাঠে মঞ্চে উঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে রাজশাহীকে শত্রæমুক্ত ঘোষণা করেন। অপেক্ষার পর অর্জিত বিজয় অনেক আনন্দের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।