দুর্ঘটনায় আহত বাবা : দুই সপ্তাহ পর সার্জেন্টের মামলা নিল বনানী থানা

আগের সংবাদ

সেট টপ বক্স নিয়ে স্বেচ্ছাচার > দাম ও মান নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন > এত কম সময়ে বাস্তবায়ন কঠিন : কোয়াব

পরের সংবাদ

মুজিববর্ষের বানান ভুলের যে ব্যাখ্যা দিয়েছে কমিটি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশব্যাপী একযোগে যে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেখানকার মূল ডায়াসে বানান ভুল হওয়া অপ্রত্যাশিত, অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। চলমান সব অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই এর কারণ আরো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বানানো মঞ্চে উঠে শপথ পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালি সারাদেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নির্ধারিত ভেন্যু থেকে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যে কারণে দেশে ও দেশের বাইরের কোটি মানুষের চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায় এবং ফেসবুক লাইভে। সেখানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী যে পোডিয়াম বা ডায়াসের সামনে শপথ পাঠ করেছেন সেখানে মুজিববর্ষ বানানটি লেখা হয়েছে ‘মুজিবর্ষ’। অর্থাৎ মুজিববর্ষের মাঝখানের একটি ‘ব’ সেখানে নেই। যদিও শপথপত্রে বানানটি লেখা হয়েছে মুজিববর্ষ। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে, যে দিবসকে ঘিরে এত আয়োজন সেই মুজিববর্ষের গুরুত্বপূর্ণ লোগোর মূল বানানটাই ভুল করেছে আয়োজক কমিটি।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়, ডিভাইস ট্রান্সফারের একপর্যায়ে মুজিববর্ষের একটি ‘ব’ বাদ পড়ে গেছে। কারিগরি জটিলতার কারণে এই ভুল হওয়ায় কাউকেই এককভাবে দায়ী করার কোনো অবকাশ নেই বলে গতকাল শুক্রবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কামাল চৌধুরী। তিনি জানান, এই ভুলটি চোখে পড়ার পরই সেটি সংশোধনের পাশাপাশি ইভেন্ট আয়োজকদের কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ইভেন্ট আয়োজকরা জানায়- প্রধানমন্ত্রী যে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে শপথ পড়ছিলেন, সেখানে মুজিববর্ষের মনোগ্রামটি লেখা ছিল মূলত একটি গোলাকার এলইডি স্ক্রিনে। সেই মনোগ্রামে একটি বিশেষ লিপি বা ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ল্যাপটপে মনোগ্রামের লেখা ঠিকভাবে এলেও সেটা এলইডি মনিটরে ট্রান্সফার করার পর সেটি ভেঙে মাঝের একটি ‘ব’ গায়েব হয়ে যায় বলে তারা জানায়। ডায়াস থেকে ওই মুহূর্তে বেশ দূরে অবস্থান করার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রæটিটি চোখে পড়েনি বলে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ল্যাপটপে ডিজাইন ঠিকই ছিল। সেটা যখন চিপের মাধ্যমে এলইডি স্ক্রিনে ফেলা হয়েছে তখন সেটার মেকআপ ভেঙে যায়। এলইডির ক্রপ স্ক্রিনে ওই ফন্টটি সাপোর্ট করেনি, এ কারণে ‘ব’ টা সরে গিয়েছে। এই ভুলকে মার্জনার দৃষ্টিতে দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আবেগের প্রতি আরো সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ভুল কীভাবে হয় সেটাই বিস্ময়। এখানে ভুল অবশ্যই হয়েছে। এমনটা যেন পরবর্তী সময়ে না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব। কিন্তু কারিগরি সমস্যার কারণে কাউকে দোষ দেয়ার সুযোগ কম। এ নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু সেটা সংবেদনশীল ও বস্তুনিষ্ঠ হোক, এমন প্রত্যাশা করছি।
আয়োজক কমিটির মিডিয়া কনসালটেন্ট আসিফ কবীর গণমাধ্যমে ঘটনাটিকে যান্ত্রিক ত্রæটি দাবি করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই লেখাটি চিপের মাধ্যমে পিসি থেকে ট্রান্সফার করা হয়। এই ডিভাইস ট্রান্সফারের একপর্যায়ে একটি যান্ত্রিক ত্রæটির জন্য ‘ব’ অক্ষরটি হারিয়ে যায়। পিসিতে লেখাটি নির্ভুল থাকলেও ভুল এসেছে এলইডি স্ক্রিনে। তবে বানান ভুলের বিষয়টি আয়োজকদের দৃষ্টিতে আসার পরপরই অনুষ্ঠানের বিরতির সময় এই ত্রæটি দ্রুত দূর করা হয়।
এদিকে শপথ পাঠের পরিবর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বানান প্রসঙ্গটি। এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়