ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ

আগের সংবাদ

পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপে

পরের সংবাদ

কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের নেতারা। গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুরআন তিলাওয়াতের পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন। পরে কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাসদের খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকা সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তির তাড়নায় দেশবাসী ছটফট করছে। গণতন্ত্রহীনতার বিভীষিকা থেকে জাতি মুক্তি চায়। গুমড়ে কাঁদছে লাখো রাজনৈতিক কর্মীদের পরিবার। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলা ঘোড়া জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আমার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধপত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোনো সদুত্তর নেই। আজকের সভা থেকে আবারো জোর দাবি করছি অতিদ্রুত সম্ভব হলে আজকেই নির্বাহী আদেশবলে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হোক।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, কল্যাণ পার্টি চলমান পশ্চাদপদ রাজনীতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। সেলক্ষ্যে দেশ-বিদেশের জ্ঞানী গুণীদের কল্যাণ পার্টিতে যুক্ত করা হচ্ছে। কল্যাণ পার্টি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে রাজনীতির গতিপথকে জনমুখী করবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে বিনির্মাণ করবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আইনমন্ত্রী প্রায়ই আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলেন। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় জাস্টিস সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছিলেন? জজ কোর্টের জজ সাহেবকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে? এটার কোনো উত্তর দিতে পারেননি আইনমন্ত্রী।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল হালিম বলেন, আমরা সব সময় সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভক্তি এবং বিভাজনের রাজনীতি চলছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারি মো আবু তাহের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী, মেজর অব. মো হানিফ, কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা ফোরকান ইবরাহিম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. মো. হাসান নাসির, ড. শাহেদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, কর্নেল অব. মিয়া মো. মশিউজ্জামান, মেজর জেনারেল অব. আমসা আমিন, এড. সৈয়দ এহসানুল হক, ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়