কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

আগের সংবাদ

পুঁজিবাজারে সংকটের সমাধান কোন পথে?

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : দেশের পুঁজিবাজার এই ওঠে তো এই পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এমন অবস্থা। বর্তমানে খানিকটা গতিশীল হলেও স্থিতি ফেরেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারকে তার আপন গতিতে চলতে দিতে হবে। অন্যতায় উত্থান-পতনের এই খেলা চলতেই থাকবে।
২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিপুল বিনিয়োগ ছিল পুঁজিবাজারে। সে সময় আইনি সীমা লঙ্ঘন করে অধিকাংশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাপে হঠাৎ করেই ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা শুরু করলে ধস নামে পুঁজিবাজারে। এরপর থেকে দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ছিল পরস্পরবিরোধী অবস্থানে।
মূলত, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের অন্যতম কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া সিদ্ধান্তে বারবার আঘাত আসে পুঁজিাবাজারে। সর্বশেষ ‘আমানতকারীদের স্বার্থে’ বাংলাদেশ ব্যাংক ঝুঁঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোকে নিরুৎসাহিত করে নিয়ম মেনে বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়। ইতোমধ্যে নিয়মবহির্ভূত বিনিয়োগ করায় সরকারি সোনালী ব্যাংকসহ বেশকটি ব্যাংককে জরিমানা ও ডজনখানেক ব্যাংককে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিদ্যমান টানাপড়েনও সন্দেহ বাড়িয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
জানা গেছে, পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির মতভিন্নতা বেশ পুরনো। তবে ইদানীং এটি প্রকাশ্যে আসে বেসরকারি ব্যাংক ওয়ান ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে।

এছাড়া গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনাকে ঘিরেও দুই সংস্থার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিদিনের প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেয়। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ খতিয়ে দেখতে ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শনও শুরু করে। এতে বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতবিরোধ দেখা দেয়। দুই সংস্থার বিপরীতমুখী অবস্থান দেখা গেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশের ইস্যুতেও। এসব ইস্যুতে দুই নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে আলোচনার জন্য আজ মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে ডেকেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে বিদ্যমান কতিপয় আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয়ে সম্প্রতি একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে। বৈঠকে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, ওই বৈঠকে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ঘটনায় সরকারের এ দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার চিত্র ফুটে ওঠে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির এমন দূরত্বের বিষয়টি নতুন নয়। আজকের বৈঠকে পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপের অবসান হবে- এমন আশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। এর অন্যতম কারণ হতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মতপার্থক্য। বিষয়টি নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড নিয়ে। এরপর অবিতরণকৃত লভ্যাংশ নিয়েও মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। আজকের বৈঠকে আশা করি এসব বিষয় নিয়ে তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছাবেন। এতে করে বাজারে যে অনিশ্চয়তা আছে তা কেটে যাবে। বাজার ওঠানামার বিষয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। তারা সঠিক তথ্য না জেনে, বাছ-বিচার না করে গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করেন। এতে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের ক্ষতি হচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে পুঁজিবাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খায় দরপতনের বৃত্তে। সূচকের সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজি হারিয়েছেন অনেকে। তারা বলছেন, দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাটানির কারণে অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না পুঁজিবাজার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার অত্যন্ত স্পর্শকাতর। যে কোনো সিদ্ধান্ত বা বক্তব্যই বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি দুই সংস্থার আলোচনা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শক্তিধর ব্যক্তির কারণেই দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাহট সুপারভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী এক যুগের বেশি সময় একই দপ্তরে থেকে গভর্নরের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করছেন বলে জানা গেছে। পুঁজিবাজারের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেই নতুন কোনো নিয়মনীতি প্রবর্তন করে বাজারের বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছেন তিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, এক বিভাগে ৮ বছরের বেশি কেউ থাকতে পারবে না। এ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাদের দপ্তর পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয় না আমিনুর রহমানের।
বিএসইসি, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিসহ (বিডা) সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ আকর্ষণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জানুয়ারিতে কাতারের রাজধানী দোহায় রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। এ সব কার্যক্রমের ফলে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও দেশের পুঁজিবাজারে চাঙাভাব ফিরেছে, বিনিয়োগ বাড়ছে। বিএসইসি আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করায় বাজারের প্রতি ক্রমান্বয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। যা করোনার অভিঘাত কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙা করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি স্বার্থান্বেষী গ্রুপের অপতৎপরতায় পুঁজিবাজারে বিএসইসির নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বারবার ভেস্তে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, গত কয়েক দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে যে দ্ব›দ্ব চলছে তা সমাধানের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। কিন্তু আজকের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন একজন এডিশনাল সেক্রেটারি। সেখানে সুষ্ঠু সমাধান হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে দ্রুত সমাধান করা যেত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেটা অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করেছে সেটা হচ্ছে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে নোটিস জারি করা ঠিক হয়নি। কারণ অ্যাসেট মানেজমেন্ট কোম্পানি লাইসেন্স নিচ্ছে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে। আবু আহমেদ বলেন, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকগুলোকে দেখবে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ইন্টারেস্ট রিলেটেড বিষয়গুলো দেখবে বিএসইসি। তিনি বলেন, আমি মনে করি দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক মার্কেটে কী নিয়ম আছে সেটাকে ফলো করতে পারে। অধ্যাপক আবু আহমেদ আরো বলেন, বিদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা লিমিট করে দেয়া আছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শেয়ার মার্কেটে বেশি যুক্ত হয়ে গেলে এক ধরনের বুদবুদ সৃষ্টি করে। যেটা ২০১০ সালে হয়েছিল। সে সময়ে এই আইন ছিল না। ২০১০ সালে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো বিনিয়োগ করেছে। পরে সেটা বুদবুদ সৃষ্টি হওয়ায় হাজার হাজার বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ পুঁজিবাজার নিয়ে বসছে ৩ অভিভাবক : পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সভা ডেকেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্রতিনিধি ছাড়াও থাকবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির প্রতিনিধিরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক হবে বলে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএসইসি ও বিআইসিএম শাখা থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠকের কারণ হিসেবে ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নের’ কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে অংশীজনের মতবিনিময় সভার প্রস্তাবনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন কাজ সমন্বয় ও তদারকির জন্য এই আলোচনা হবে।
চলতি বছরের মার্চে উড়তে থাকা শেয়ারবাজারে হঠাৎ করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রদানে আলোচনা ছাড়াই বিধিনিষেধ আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রথমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে ব্যাংক ৩০ শতাংশ এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে বলে শর্তজুড়ে দেয়া। পরে বিএসইসি এক সভায় প্রতিবাদ করলে ব্যাংকের লভ্যাংশ দেয়ার সীমা ৩৫ শতাংশে উন্নীত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বেশকিছু বিষয়ে দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা শিথিল করা, বিশেষ তহবিল গঠনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উৎসাহিত করা, বিশেষ তহবিলের অর্থ সুকুক, করপোরেট বন্ড, গ্রিন বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা, সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ব্যবস্থা করা, ব্যাংকের ইস্যু করা পারপেচুয়াল বা বেমেয়াদি বন্ডকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে দ্রুত লেনদেনের উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে দুই সংস্থার কর্মকর্তারা নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেন। পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের বিনিয়োগ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সীমা গণনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত সিকিউরিটিজের বাজার মূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে গণনা করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সে সময় কমিশনের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও এখনো এ সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনা দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের যখন তখন হস্তক্ষেপের পরও বিএসইসি আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করায় গত মে মাসে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে ছিল দেশের শেয়ারবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ডিএসইর ইতিহাসে সাড়ে ১১ বছরের মধ্যে প্রথম ৭ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ফিরতে শুরু করছিলেন। বিদেশি বিনিয়োগ যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, দীর্ঘদিন পর শেয়ারবাজার নিয়ে যখন সবাই খুশি। তখনই দৃশ্যমান সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং সরকারকে বিব্রত করতে একটি গ্রুপ দেশের পুঁজিবাজারকে আবারো আগের মতো বিপর্যস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়