মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

খসড়া নীতিমালা তৈরি হচ্ছে : নছিমন-করিমন-ভটভটিকে বৈধতাদানের তোড়জোড়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা নছিমন, করিমন, আলমসাধু ও ভটভটি যানবাহনকে চলাচলের সুযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগ এই খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।
সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহন নিবন্ধন ও চলাচলের অনুমোদন দেয়া হলে সড়কে প্রাণহানি আরো বাড়বে।
জানা গেছে, থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০২১-এর খসড়ায় নিষিদ্ধ যানবাহনের বৈধতা দেয়ার বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই খসড়া নীতিমালার ওপর অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে। খসড়া নীতিমালাটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। নীতিমালা তৈরির জন্য গঠিত সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউছুব আলী মোল্লা বলেন, এই নীতিমালার বিষয়ে মতামত এসেছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর মতামত নেয়া শেষ হবে। এরপর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ ধরনের যানবাহন চললে সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়বে। তবে বৈধতা দেয়ার আগে এই যানবাহনকে নিরাপদ ও উপযুক্ত করে তৈরি করতে হবে। এটা করলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকবে না।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, অননুমোদিত যানবাহনে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি হচ্ছে। এসব যানবাহন আবার গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। তাই এদের

চলাচলের ব্যবস্থা করার আগে যানবাহনের ডিজাইনের উন্নয়ন করতে হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিআরটিএর অনুমোদনক্রমে সিলিং অনুযায়ী ইজিবাইক, পাখি ইত্যাদি প্রস্তুত ও বিপণন করতে হবে এবং বিআরটিএকে এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বার্ষিকভিত্তিতে সরকারকে অবহিত করতে হবে। রুট পারমিট পাওয়া ইজিবাইক কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে। ইজিবাইক বা এ জাতীয় যানে অবশ্যই মানসম্পন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ অনুমোদিত ব্যাটারি চার্জিং নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
রুট পারমিটে উল্লিখিত রুটে স্টেইজ ক্যারিজ বা কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ হিসেবে ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে। খসড়া নীতিমালায় নছিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ইত্যাদি মোটরযান ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বলা হয়েছে, শুধু উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় রুটে রুট পারমিট নেয়া সাপেক্ষে নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ও এ জাতীয় বাহন চলাচল করতে পারবে। তবে ওই রুটের কোনো অংশ মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশ হতে পারবে না। উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির মতামতের ভিত্তিতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি রুট নির্ধারণপূর্বক সে অনুযায়ী রুট পারমিট দেবে।
যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) নির্ধারিত সিলিং অনুযায়ী বিআরটিএ নছিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ইত্যাদি বাহনের নিবন্ধন দেবে। নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ইত্যাদির রেজিস্ট্রেশন ও সিলিং নির্ধারণের আগে এ ধরনের বাহনের সর্বজন গ্রাহ্য এবং যাত্রী সুরক্ষার ব্যবস্থা সংবলিত অনুমোদিত ডিজাইন/ ড্রইং নির্ধারণ করতে হবে- যে কোনো সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশ সাপেক্ষে বিআরটিএ কর্তৃক টাইপ অনুমোদিত হতে হবে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) সিলিং নির্ধারণ করবে এবং ওই সিলিং অনুযায়ী নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ইত্যাদি বাহন প্রস্তুত বা বিক্রয় করতে হবে।
রুট পারমিট পাওয়া নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ইত্যাদি বাহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে। নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ইত্যাদি বাহন রুট পারমিটে উল্লিখিত রুটে স্টেইজ ক্যারিজ বা কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ হিসেবে চলাচল করতে পারবে।
খসড়া নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন সনদ, হালনাগাদ রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন প্রয়োজন হবে। এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহন শুধু রুট পারমিটে উল্লিখিত এলাকায় চলাচল করতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়