ওয়ারী থেকে উদ্ধার : মারা গেল সেই নবজাতকটি

আগের সংবাদ

বিদ্রোহের ভারেই নৌকাডুবি

পরের সংবাদ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা শেষ পর্যন্ত স্বপদেই বহাল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে শেষ পর্যন্ত স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। সারাদেশে আলোড়ন তোলা এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গতকাল রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও তাকে শুধু পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা এ শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে এতদিন আন্দোলন করে আসছিলেন।
নানা নাটকীয়তা শেষে গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নোটিসটি গতকাল

বিকালে একাডেমিক ভবনের নোটিস বোর্ডে টানানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এতে স্বাক্ষর করেছেন ২১ নভেম্বর।
শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় জানান, এমন সাধারণ সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে অনেক আগেই নেয়া যেত। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে করা আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর সিন্ডিকেট সভায় চুল কাটার ঘটনায় ফারহানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেন বিষপানে এবং একই বিভাগের আবিদ হাসান নামে অন্য একজন ছাত্র হাতের রগ কেটে আত্মহননের চেষ্টা করেন। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নাজমুল হাসান তুহিন নামের অন্য এক ছাত্র স্লিপিং পিল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেই থেকেই ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বরখাস্তের জোর দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন ওই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। সেই থেকেই ফারহানার স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়