ওয়ারী থেকে উদ্ধার : মারা গেল সেই নবজাতকটি

আগের সংবাদ

বিদ্রোহের ভারেই নৌকাডুবি

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে স্টেডিয়ামের দেয়ালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যানার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা এলাকায় জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ। গতকাল রবিবার ছিল খেলার তৃতীয় দিন। এদিন স্টেডিয়ামের দেয়ালে ‘একাত্তর সালে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে’- এমন একটি সেøাগানসংবলিত ব্যানার ঝুলতে দেখা গেছে। এটি সাঁটানো হয়েছে ‘বীর চট্টলার জনতা’ নামে। প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই ব্যানারটি স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শক এবং ওই এলাকা দিয়ে চলাচলকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এমন ব্যানার টাঙানোয় অনেকে সময়োপযোগী ও সাহসী বলেই অভিহিত করেছেন। এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশি এক যুবক পাকিস্তানি জার্সি গায়ে দিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত স্থানীয় কিছু প্রতিবাদী তরুণ তাকে ঢুকতে দেননি। শুধু তাই নয়, তাকে ধাওয়া দিলে সে একটি ডোবায় পড়ে যায় এবং সেখান থেকে বারবার হাত জোর করে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে তাকে। পাকিস্তানপ্রেমী ওই বাংলাদেশি যুবক আর কখনো পাকিস্তানি জার্সি পরবে না- এমনটি অঙ্গীকার করে ছাড়া পেয়েছে সেদিন।
এদিকে গতকাল স্টেডিয়ামসংলগ্ন দেয়ালে সাঁটানো ব্যানারটি যে কয়েকজন প্রতিবাদী যুবক লাগাতে গিয়েছিল তখন নাকি তাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্য নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। দুপুরে তাদেরই একজন অনুপম বড়–য়া ওই ব্যানারটি লাগানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিককে বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এদেশে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছে। দুই লাখ নারী তাদের হাতে নিগৃহীত হয়েছে। লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ- এমন আরো অনেক মানবতাবিরোধী অপরাধ তারা করেছে। তাদের নৃশংসতার কথা বাঙালি জাতি এখনো ভুলে যায়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সেই পাকিস্তানের ক্রিকেট দল এদেশে এসে খেলায় অংশ নিচ্ছে, অথচ তারা এখনো কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চায়নি। আমরা এদেশের আপামর বাঙালির প্রাণের দাবিটি তুলে ধরেছি।
এদিকে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ব্যানার টাঙানোর জন্য অনুপম বড়–য়া নামে যুব ইউনিয়নের এক নেতাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নানাভাবে হয়রানি করছেন। তবে গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, আমি বিকালেও ব্যানারটি দেখেছি তবে কে বা কারা সেটি লাগিয়েছেন তা ঠিক বলতে পারব না। যারা ব্যানার লাগিয়েছে তাদের কাউকে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ নিয়ে গেছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মোস্তাফিজ বলেন, ‘না না এমন কিছু ঘটেছে বলে তো শুনিনি। আমি ব্যানারটি বিকালেও দেখেছি।’ কিন্তু গতকাল রবিবার রাতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুব ইউনিয়নের নেতা অনুপম বড়–য়ার মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়