পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা : আসামি অজ্ঞাত কয়েক হাজার

আগের সংবাদ

‘ওমিক্রন’ নিয়ে সতর্ক সরকার

পরের সংবাদ

ভয়ংকরতম ভ্যারিয়েন্টের হদিস দক্ষিণ আফ্রিকায় : ডেল্টার ৫ গুণ মিউটেশন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উদ্ভূত করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট সামনের দিনগুলোয় মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, এই ভ্যারিয়েন্ট অতিদ্রুত মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। এর সাংকেতিক নাম রাখা হয়েছে বি.১.১.৫২৯ এবং শিগগিরই এর একটি ডাক নামও (গ্রিক বর্ণমালার আলফা, বেটা ইত্যাদি) দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি প্রদেশে অনেকে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুতই এটি বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে। নবাগত ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে আফ্রিকার ৬ দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লেসোথো ও এসওয়াতিনি থেকে সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সংক্রামক রোগবিষয়ক সংস্থা ইমপেরিয়াল ডিপার্টমেন্ট অব ইনফেকশাস ডিজিজের একজন ভাইরোলজিস্ট নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরন’ বলে বর্ণনা করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স এন্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলেন, এই ভ্যারিয়েন্টের ‘মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক’ এবং ‘অনেক ভিন্ন’। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এর ৫০টি মিউটেশন রয়েছে যার মধ্যে ৩০টাই স্পাইক প্রোটিনে। ভাইরাসের যে অংশটি আমাদের শরীরের কোষের সঙ্গে প্রথম সংযোগ ঘটায়, নতুন ভ্যারিয়েন্টে সেটির ১০টি মিউটেশন রয়েছে। সম্প্রতি তোলপাড় তুলে দেয়া ভয়াবহ ক্ষতিকর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল মাত্র দুটি। তবে অনেক মিউটেশন থাকা মানেই যে তা ক্ষতিকর, তা নয়। কিন্তু মিউটেশনগুলো আসলে কী ক্ষতি করছে- তা জানা জরুরি। চিন্তার বিষয় হচ্ছে, চীনের উহানে উদ্ভূত প্রথম ধরনের চেয়ে এটি আকাশ-পাতাল ভিন্ন। এর অর্থ হলো, করোনা রোধে তৈরি হওয়া টিকা- যেগুলো মূল ধরনটি অনুসরণ করে বানানো হয়েছিল, সেটি এই নতুন ধরনের ক্ষেত্রে অকার্যকর প্রমাণ হতে পারে।
এই ভ্যারিয়েন্টে দেখা যাওয়া কয়েকটি মিউটেশন এর আগে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। যেমন, এন৫০১ওয়াই করোনা ভাইরাসকে সহজে সংক্রমিত হতে সহায়তা করে বলে ধারণা করা হয়। নতুন ভ্যারিয়েন্টে আরো কিছু মিউটেশন রয়েছে যার ফলে শরীরের অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে না। দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড লেসেলস বলেন, মিউটেশনগুলো ভাইরাসকে সংক্রমণে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরো শক্তিশালী করেছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা। ইমিউন সিস্টেমের বিভিন্ন অংশকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করার সক্ষমতাও থাকতে পারে এগুলোর। এর আগেও করোনা ভাইরাসের নতুন আবিষ্কৃত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, আতঙ্ক শুধু কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাভি গুপ্তা বলেন, বেটা শুধু ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিত। ডেল্টার সংক্রমণের ক্ষমতা ছিল বেশি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের এই দুটোই করার সামর্থ্য রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়