লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

১৪ ইউপিতে ২২ বিদ্রোহী : জয় নিয়ে শঙ্কায় মান্দার আ.লীগ প্রার্থীরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা থেকে : আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মান্দায় আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর কারণে কর্মীরাও বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। এতে নিজেরা নিজেদের মধ্যে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে করে নির্বাচনে জয় নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া নৌকার প্রার্থীরা।
জানা গেছে, আসন্ন ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ২২ জন। এর মধ্যে অনেকে দল মনোনীতদের চেয়ে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তাই বিদ্রোহী নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা। বিদ্রোহীদের কারণে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন নেতারা।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলছেন, দলীয় কোন্দলের কারণে তৃণমূল থেকে যোগ্য প্রার্থীর নাম যায়নি কেন্দ্রে। নেতারা জনপ্রিয়তা যাচাই না করে নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। আবার কোনো কোনো ইউনিয়নের একক প্রার্থীর নাম পাঠিয়েছে কেন্দ্রে এমন অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীরা জানিয়েছেন জনপ্রিয়তা যাচাই না করে শুধু সুপারিশের ভিত্তিতে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে দল। জনপ্রিয়তা নেই এমন দলীয় প্রার্থী দেয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। তাই সেসব নেতাকর্মীর অনুরোধ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে একাধিক নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটাররা দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভোগছে। কর্মী ও ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নে উপজেলার শীর্ষ নেতাদের কাছের আত্মীয়রা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো জোরালো ভূমিকা দেখতে পাইনি তাদের পক্ষ থেকে। দলীয় নেতাদের নীরব ভূমিকা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সুযোগ নিচ্ছে অন্য প্রতীকের প্রার্থীরা। অপরদিকে নির্বাচনে বিএনপি না আসাসহ স্থানীয় নানা সমীকরণের কারণে বিদ্রোহী হয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। এছাড়াও গতবার বিদ্রোহী হয়ে যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন কিংবা পাস করতে পারেনি, তারা সঙ্গত কারণে দলের মনোনয়ন পাননি।
নির্বাচনকে ঘিরে বিদ্রোহী প্রার্থী, নৌকা সমর্থিত প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পোস্টার ছেঁড়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করছে প্রশাসনের কাছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বেশি পেরেশানি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। রিটার্নিং কর্মকর্তা বারবার নিয়ম মেনে চলার তাগিদ দিচ্ছেন প্রার্থীদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক বিভিন্ন ঝামেলা বা অভিযোগের পরে তাৎক্ষণিক উভয় প্রার্থীদের ডেকে সতর্ক করে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়