মানিলন্ডারিং মামলা : হাইকোর্টে জামিন পাননি এসপিসি ওয়ার্ল্ডের শারমিন

আগের সংবাদ

জাহাঙ্গীর আজীবন বহিষ্কার : আ.লীগের সভায় সিদ্ধান্ত, মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর > খালেদার টার্গেট আমি : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

গোলটেবিল আলোচনায় মেয়র আতিক : পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে হবে বাড়ির মালিকদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার মতো এলাকায় বাড়ির পয়ঃবর্জ্য কাছের লেকে গিয়ে মেশে। এ অপব্যবস্থাপনা চলতে দেয়া যাবে না। বাসাবাড়ির পয়ঃবর্জ্যরে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাড়ির মালিকদের নিতে হবে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টয়লেট দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন ভূমিজ। আজ শুক্রবার টয়লেট দিবস পালিত হবে।
দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তারিক বিন ইউসুফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট পুষ্কর শ্রীবাস্তব, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার অমিত দত্ত রায়, বিশ্বব্যাংকের আরবান ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ঈশিতা আলম অবনী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভূমিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা রশিদ ঢাকা শহরের টয়লেট ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
মেয়র আতিক বলেন, ছয় মাসের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের ব্যবস্থা করতে হবে। না করলে জরিমানা করা হবে। লেকের পানি নষ্ট হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে নতুন টয়লেট বানানোর ক্ষেত্রে আমাদের আগ্রহ আছে। কিন্তু আমাদের হাতে পর্যাপ্ত জমি নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
আতিক বলেন, নাগরিকদের সুবিধার্থে এরই মধ্যে ডিএনসিসি এবং বিভিন্ন এনজিওর উদ্যোগে ১৬৩টি গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত তথ্যাদি ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসে সংযুক্ত করা হয়েছে। যে কোনো নাগরিক প্রয়োজনের সময় তার নিকটস্থ গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত কিংবা অভিযোগ অ্যাপসটির মাধ্যমেই ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারেন।
মেয়র বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল (যা সেপটিক ট্যাংকের পানি পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়) না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি

ড্রেন কিংবা খালে পড়ে জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সুস্থ পরিবেশের স্বার্থেই নগরীর বাসাবাড়িগুলোয় আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থাও সচল রাখতে হবে। ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে বিল্ডিং ডেভেলপ করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর জলাশয় অসাধু আবাসন ব্যবসায়ীরা দখল করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে মেয়র বলেন, অসাধু আবাসন ব্যবসায়ীদের বলি, প্রতারণামূলক ব্যবসা থেকে নিজেদের বিরত রাখুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়