কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

সন্তানের হোক সুস্থ বিকাশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ডা. আশরাফুন্নাহার চৈতী
সঙ্গে যতটা আন্তরিক পরিবেশ বজায় রাখা যাবে, সন্তানও ততটা পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠবে। তবে সত্যি ,যে বাড়িতে বাচ্চা আছে, সেই বাড়িতে খেলনা নেই এমনটা কোনও দিন হতে পারে না। হতে পারে খেলনার রকমসকম, দাম, নাম এবং বিশেষত্ব আলাদা আলাদা, কিন্তু তার পরিচয় একটাই, সে শিশুমনের সবথেকে প্রিয় সঙ্গী।
বলুন তো, আপনার কাছে খেলনার গুরুত্ব কী? খেলনা কি শুধুই একচেটিয়া উপহার বা বাচ্চাকে ব্যস্ত রাখার একটা কৌশলমাত্র? নাকি বাচ্চা সামলে রান্নাঘরে কাজ গোটানোর একমাত্র হাতিয়ার?
বিশেষজ্ঞদের দাবি কিন্তু অনেকটাই অন্যরকম। বাচ্চা ভোলানো খেলনাই কিন্তু শিশু-শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাচ্চার মেধা এবং মনন প্রখর করতে সাহায্য করে। বাচ্চার সামগ্রিক বিকাশ এই খেলনা ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না কিছুতেই। মাইকেল মিচেল নামের একজন অভিভাবক সন্তান পালন নিয়ে একটা জরিপ করেছেন; যা পরে তিনি নিজেও কাজে লাগিয়েছেন। অসংখ্য অভিভাবকের অভিজ্ঞতাকে একত্র করে তিনি একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছেন; যা মূলত সন্তানদের সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারে। তারই কিছু পরামর্শ এখানে আলোচনা করা হলো।
বাচ্চার জন্য খেলনা নেওয়ার আগে, একটু যাচাই করে এবং মাথা খাটিয়ে খেলনা কিনলে, শিশু সত্যিই খেলতে খেলতে জ্ঞান অর্জন করে, বাইরের পরিবেশের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত হয়ে যায় এবং তার বিচারবুদ্ধিরও বিকাশ ঘটে। বাচ্চার শিক্ষায় তাই খেলনা বড্ড গুরুত্বপূর্ণ।

১. শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় বোকা হতে, মজার মানুষ হতে কোনো দ্বিধা করবেন না। খেলতে গিয়ে মা-বাবা নিজেরা হবেন শিশুসুলভ। মজা করবেন।
২. মাঝেমধ্যে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরতে দিন। আপনি হয়তো গাড়ি চালাচ্ছেন, কোলে বাচ্চা, তাকে মাঝেমধ্যে স্টিয়ারিং ধরতে দেবেন, সে এই অভিজ্ঞতা মনে রাখবে।
৩. ছোট্ট সন্তানকে কাঁধে তুলে নিন। এত ওপর থেকে জগৎ দেখে সে যে কী আনন্দ পাবে, সেটা আপনি বুঝতে পারবেন।
৪. শিশুদের সুন্দর চেহারার প্রশংসা করুন। তবে তাদের সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিন, বাইরের এই সৌন্দর্য শেষ কথা নয়, এর সঙ্গে জ্ঞান, বুদ্ধি যুক্ত হলে তবে তা হবে সত্যি খুব সুন্দর।
৫. শিশুরা চুমু খেতে শিখবে একসময়। প্রথমে তারা মা-বাবার সারা মুখে চুমু খাবে। এতে কিছু মনে করবেন না, এই আদর সুবর্ণ অভিজ্ঞতা।
৬. ভালো মন্দের তফাত বুঝিয়ে দিন সন্তানকে। একটা কথা মা-বাবার বুঝতে হবে, মা-বাবা যা বলেন, তা তারা তেমন অনুসরণ করে না।
৭. শিশুদের সাথে খেলার সময় মা-বাবা যা করেন, যেমন আচরণ করেন, সেটা সন্তান অনুকরণ করে। তাই অভিভাবকদের ঝগড়া, অতিরিক্ত স্ক্রিনিং থেকে বিরত থাকা উচিত।
৮. সন্তানের যেধরনের খেলনা বা রঙ পছন্দ তা বুঝে কিনে দেবার চেস্টা করুন। সন্তান যদি মাঝে মধ্যে বাইরের ডিজিটাল প্লেজোনে যেতে চায় সামর্থ্য থাকলে নিয়ে যান। বাসাতে সন্তানের বড় হয়ে কী পেশা নিবেন সেই পছন্দ মত রাধুনী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার হবার মত শিক্ষামূলক টুলস কিনে দিন।

মডেল : সাওদা
আলোকচিত্রী : আয়েশা সাফা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়