কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে সানা রেজওয়ান সেলিম (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে গুলশান-২ এর ৪১ নম্বর রোডের ৪৮/১ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। উত্তরার সানবীমস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। দুই বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। তার বড় বোন দেশের বাইরে থাকেন। পুলিশ বলছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে দশতলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে সানা।
গুলশান থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) শিল্পী আক্তার জানান, ১২ তলা বাড়িটির দশতলাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত সানা। তার বাবা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রেজওয়ান সেলিম। শুক্রবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সে দশতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের ফুফু বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য সানার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই। এদিকে রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায় আছমা আক্তার রিয়া (২৫) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে স্বজনরা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গলির বাসায় ঘটনাটি ঘটে। তার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কালাইকাছর গ্রামে। বাবার নাম নাসির গাজী। সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গলিতে স্বামী ওবায়দুল ইসলাম ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। স্বামী ওবায়দুল আগে প্রাইভেট কার চালালেও বর্তমানে কিছু করেন না।
মৃত আছমার স্বজনরা জানান, স্বামীর সঙ্গে অন্য মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক সন্দেহে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল সকালে স্বামী ওবায়দুলকে ফোন দিয়ে বাসায় যেতে বলেন আছমা। পরে ওবায়দুল বাসায় গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। এরপর দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে আছমাকে ফ্যানের সঙ্গে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনার পর থেকে স্বামী ওবায়দুল পলাতক রয়েছে বলে জানায় স্বজনরা।