দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

তাবলিগ জামাতের ১৫ সদস্যকে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : জেলার কাউখালীতে একটি মসজিদে থাকা তাবলিগ জামাতের ১৫ মুসল্লিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গারতা আল সেতারা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই মুসল্লিদের গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থরা হলেন- নীলফামারীর বড়ইবাড়ী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৯), সুনামগঞ্জের মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে শফিউল্লাহ (৬২), একই জেলার কালীপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাফর আলী (৬০), নেত্রকোনার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০), একই জেলার বড়ইখালী গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৬), নওগাঁর বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), ভাণ্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মোস্তাকিম (৬০), রসুলপুর গ্রামের বসির শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১), কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লার ছেলে সফিউল্লাহ (৬৯), একই জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌরে ছেলে আলী আকবর (৫৮), সুনামগঞ্জের ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালীর কাশীমপুর গ্রামের আরশতিমের ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজারের নয়াপাড়া গ্রামের হাসেম উল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ।
এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান ও তাবারক উল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাবলিগ জামাতের এই দলটি বৃহস্পতিবার উপজেলার গারতা মসজিদে চিল্লায় অংশ নেয়। তাবলিগ জামাতের সদস্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর গ্রামের মোজাহার হোসেন জানান, তারা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ফজরের নামাজের সময় ওই মুসল্লিদের কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় ১৫ জনকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো দুষ্কৃতকারী চুরির উদ্দেশ্যে বা নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়