দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র : ধসে পড়া ছাদের সংস্কার কাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ছাদের একাংশ ও ভেতরে কয়েক স্থানে ধসে গেছে। সংস্কারের নামে অপরিকল্পিত কাজ বিল্ডিংকে আরো ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কুল্যা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ২ তলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। নিচের তলায় চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। দ্বিতীয় তলায় কর্মকর্তা বসবাস করেন এবং ওষুধপত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। বিল্ডিং নির্মাণের সময় এলাকাবাসী অনিয়মের বারবার প্রতিবাদ করলেও আমলে নেয়া হয়নি। বর্তমানে কাজে অনিয়মের প্রমাণ প্রত্যক্ষ হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। ছাদের ভেতরে কয়েক স্থানে বড় অংশ ভেঙে পড়েছে ও ছিদ্র হয়ে গেছে। দেয়ালের দিকে তাকালে দেখা যাবে কতটা অনিয়মের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসবাস ও অফিস পরিচালনা চরম বিপজ্জনক ও জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে বিল্ডিংয়ের কিছু ওয়াল ও মেঝে টাইলস বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছাদের দুরবস্থা দূর করার নামে জলছাদ উঠিয়ে ফেলে ছাদের ওপর দিয়ে পুনরায় ঢালাই কাজে হাত দেয়া হয়েছে। সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে জলছাদ উঠিয়ে পুরনো ছাদের ওপর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ কতটা যুক্তিযুক্ত এ নিয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ধসে পড়া ছাদের অংশে দেখা গেছে ছাদে এক হাতে ৩টি করে রড ব্যবহার করা হয়েছে। রডের ফাঁক বাড়িয়ে রড কম লাগানোর কাজই কেবল করা হয়নি, বরং ছাদে ব্যবহৃত সব রডই ৮ মিলি এবং সিঙ্গেল জালি দেয়া হয়েছে। ছাদের ঢালাই দেয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন ইঞ্চি। অথচ জলছাদ দেয়া হয়েছে ৫ ইঞ্চি। ফলে ছাদের অবস্থা যে খুবই জীর্ণশীর্ণ সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংস্কারের নামে জলছাদ ওঠাতে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে ছাদের ভেতরের অংশ ভেঙে পড়ছে। তারপরও দুর্বল ছাদ রেখে দিয়ে তার ওপর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রোগী ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরতদের। তাদের মনে ভীতি ও শঙ্কা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি সংস্কারের নামে বিল্ডিংটিকে আরো ভয়াবহ পরিণতিতে ঠেলে না দিয়ে পুরো ছাদটাই ভেঙে নতুন ছাদ দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার শাহিনুর আলম বলেন, এক মাস আগে আমরা কাজটা শুরু করেছি এবং এটি চার মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এখানে সংস্কারের কাজ হবে, জলছাদ উঠিয়ে নতুন করে জলছাদ করা হবে। দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়া বলেন, আমরা বিল্ডিংটা দেখে এসেছি। জলছাদের জন্য ছাদ খোঁড়া হলে তারপর নিচের অংশ খসে খসে পড়তে দেখেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশাশুনি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিন গিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়