ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

মিরসরাই : গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ ইউসুফ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং ৬ জন সংরক্ষিত ও ১৩ জন সাধারণ সদস্যও একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ইউনিয়নগুলোতে মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অধিকাংশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট না হওয়ায় নির্বাচনী মাঠে মূল আলোচনায় রয়েছেন মেম্বার প্রার্থীরা। বেশির ভাগ ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান, ৪৮৯ জন সাধারণ ও ১১৮ জন সংরক্ষিত সদস্য প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সাইফুল্লাহ (ঘোড়া প্রতীক), খায়রুল বাশার ফারুক (আনারস প্রতীক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শামছুল আলমকে (নৌকা প্রতীক) সমর্থন দিয়ে সরে গেছেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আজম খানকে (চশমা প্রতীক) প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি। ফলে ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে মো. শামছুল আলম গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক করছেন। স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর ব্যানার, পোস্টার চোখে পড়েনি। ১২নং খইয়াছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহফুজুল হক জুনু (নৌকা প্রতীক), বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী (ঘোড়া প্রতীক) প্রতিদিন গণসংযোগ করছেন। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত নুর হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক)। তবে নুর হোসেনকে গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি। ইউনিয়নটিতে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হবে নৌকা ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে। ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. নুরুল মোস্তফা (নৌকা প্রতীক)। এই ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া মোস্তফা ভূঁইয়া (আনারস) প্রতীক গণসংযোগ করছেন অনেকটা নীরবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার পোস্টার, ব্যানার চোখে পড়েনি।
এদিকে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেম্বার প্রার্থীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মেম্বার প্রার্থীরা। মেম্বার পদে প্রার্থীদের অনেকে বয়সে তরুণ এবং প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন। ফলে নতুন প্রার্থীরা তরুণ ভোটারদের গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় বেশি সম্পৃক্ত করতে পারছেন। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন জাতীয় পার্টি প্রার্থী ছাড়া বাকি সব প্রার্থীই আওয়ামী লীগের। এতে করে নির্বাচন প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক হলেও ইছাখালী ইউনিয়ন ও খইয়াছরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সমর্থক এবং অন্যান্য ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ভোটের দিন সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৪৮৯ জন সাধারণ ও ১১৮ জন সংরক্ষিত প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
ভোটের মাঠে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়