১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

শিবালয়ে সারের কৃত্রিম সংকটে কৃষকের হয়রানি : নির্ধারিত দাম তালিকায় আছে, বাস্তবে বেশি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুরেশ চন্দ্র রায়, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) থেকে : শিবালয় উপজেলার কৃষকরা সারের কৃত্রিম সংকটে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতি বস্তা সারের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে বলে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, টিএসপি, ডিএপি, ইউরিয়া ও পটাশসহ বিভিন্ন সারের দাম বেশি নেয়া হলেও ডিলাররা কৃষকদের কোনো পাকা রসিদ দিচ্ছেন না। রশিদ না থাকায় বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়ে প্রমাণসহ কারো কাছে অভিযোগও দিতে পারছেন না তারা। সারের দাম বাড়ানোর পেছনে ডিলারদের সিন্ডিকেট রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে। সারের কোনো ঘাটতি নেই। তবে সরকার টিএসপির পরিবর্তে ডিএপি ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। কারণ টিএসপির তুলনায় ডিএপি সারে ফলন বেশি হয় এবং টিএসপির তুলনায় দামও কম। শিবালয়ের কৃষকদের ভাষ্যমতে, বর্তমান বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। ব্যয়ের তুলনায় আয় নেই। এখন রবিশস্য চাষাবাদ শুরু হয়েছে। জমিতে চাষ দিয়ে সার কিনতে এসে দেখেন, বীজ ও সারের দাম আকাশচুম্বী। সার, ওষুধ ও বীজের দাম বেশি রাখলেও দোকানদার কোনো পাকা রসিদ দিচ্ছেন না কৃষকদের। অথচ দোকানদার দোকানের সামনেই ঝুলিয়ে রেখেছেন সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা। শিবালয় উপজেলায় বিএডিসির ৯ জন ও বিসিআইসির ৮ জন ডিলার রয়েছেন। এ ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কিছু খুচরা বিক্রেতা। উপজেলার বিভিন্ন সারের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিলারের দোকানে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, টিএসপি ১৩০০ থেকে ১৫৫০ টাকা, ডিএপি ৯ ৫০ থেকে ১২০০ টাকা ও পটাশ ৮৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকায়। অথচ কৃষি উৎপাদনে খরচ কমানোর জন্য সরকার ডিএপি সারের দাম কেজি প্রতি ১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। খুচরা বিক্রেতা ডিলারের কাছ থেকে কিনবেন ১৪ টাকায়। টিএসসি খুচরা বিক্রেতা কিনবেন ১৪ টাকা কেজি দরে। আর কৃষক কিনবেন ২২ টাকায়। এমওপি খুচরা বিক্রেতা কিনবেন ১৩ টাকায় আর কৃষক পাবে ১৫ টাকায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজুর রহমান জানান, শিবালয়ে সারের কোনো সংকট নেই। তবে কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করতে পারে। আমাদের অফিসের মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক কৃষকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। তবে উপজেলার বরংগাইল বাজারে একটু ঝামেলা রয়েছে বলে শুনেছি। কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (এডি) মো. জাফরান জানান, সারের কোনো সংকট নেই। তবে সরকার টিএসপির পরিবর্তে ডিএপি ব্যবহারের প্রতি জোর দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, কোনো সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। সার, বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, লিখিত অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়