ডেঙ্গুতে ৯১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ২৩ হাজার

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সংঘাত থামছেই না : সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা করছে আ.লীগ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাসে নিহত ৮, নির্বাচনী সংঘর্ষে ৩৮ নিহত

পরের সংবাদ

নারাজি আবেদন খারিজ : পারিবারিক কারণেই সালমান শাহর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর দাখিলকৃত নারাজি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন আদালত। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।’
শুনানির শুরুতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ প্রতিবেদনটিতে নারাজি আবেদন করেন। এছাড়া সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী লন্ডনে থাকায় তার জবানবন্দি ভার্চুয়ালি গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরে নথি দেখে এ নারাজি আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন বিচারক। এর আগে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়। আদালত সেটি খারিজ করে দিয়ে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেছেন। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মারা যান সালমান শাহ। এ ঘটনায় সে সময় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করা হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এরপর ২৫ বছর ধরে মামলাটির বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা একাধিকবার আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও সেটি সঠিক নয় বলে প্রতিবেদনে নারাজি দেয় সালমান শাহর পরিবার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সালমান শাহর মৃত্যুর পরের বছর ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর দায়িত্ব পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। সে বছর ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। কিন্তু সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত।
প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে থাকার পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সে বছর ২১ ডিসেম্বর মা নীলা চৌধুরী এই তদন্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন।
এরপর ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে বলা হয়, আজিজ মোহাম্মদসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন। এরপর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। তবে র‌্যাবের মাধ্যমে তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েশ রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‌্যাবকে মামলাটি আর তদন্ত না করার আদেশ দেন। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়