‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

মহম্মদপুরে ভাঙা ব্রিজে ৩০ হাজার মানুষের পারাপার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া এলাকায় খালের উপরের ভাঙা ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে দুই পাশের ১২ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এই ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে ওই অংশটা পড়ে গেছে। এছাড়াও পাশের পিলার ভেঙে গেছে। তাই প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই পাশ দিয়ে চলতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও পথচারীকে। যে কোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
এলাকাবাসী জানায়, ভাঙা ব্রিজের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিক্ষার্থী, কৃষক ও রোগীদের। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ এবং অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যানবাহন নিয়ে ভাঙা ব্রিজ পারাপার হতে চায়না। পার হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। আর তাই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এই ভাঙা ব্রিজটি মেরামত করার দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বড়রিয়া, মৌশা, নিখরহাটা, ছোটকলমধারী, শ্রীপুর, কলমধারী ও গোপিনাথপুরসহ প্রায় ১২টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করেন। তাদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয় মোটরচালিত ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছোট যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা ব্রিজ পারাপার হতে হয় তাদের প্রতিদিন। এছাড়াও এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে বেকায়দায় পড়তে হয়। ফলে তাদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটিই বাড়ে।
স্থানীয় কৃষক মো. গিয়াস ফকির ও ইদ্রিস আলী বলেন, এই ভাঙা ব্রিজের কারণে আমাদের কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার বাজারজাত করার সময় গাড়িঘোড়া আসতে চায় না। এতে আমাদের খরচও বাড়ে কষ্টও বাড়ে। তাই এই ভাঙা ব্রিজটি মেরামত হলে আমরা বেঁচে যেতাম।
বড়রিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামিম মাহবুব বলেন, এই ব্রিজের জন্য হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার কৃষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বড়রিয়া গ্রামসহ আশপাশে কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে হচ্ছে।
বালিদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. পান্নু মোল্যা বলেন, এই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের শতশত মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে এবং এলাকার কৃষকদেরও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। জনসাধারণের কথা ভেবে আমি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় এই ব্রিজের বিষয়ে আলোচনা করেছি।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আব্দুস ছাত্তার জানান, এই ভাঙা ব্রিজটি রিপ্রেস (নতুন করে) করার জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিসের মাধ্যমে চাহিদা দেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন করে গেছেন। সংক্ষেপে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়